• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

সম্পাদকীয়

মুক্তিযুদ্ধ, শরণার্থী এবং ভারতীয় চিকিৎসকদের কথা

  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০২১

বঙ্গ রাখাল

 

 

 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সার্বিক জনযুদ্ধ। এই যুদ্ধে নারী-পুরুষ উভয়েরই অংশগ্রহণ ছিল। শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে সেবা করতে দেখা গেছে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও। আমাদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সেইসব শরণার্থীর করুণ ক্ষতবিক্ষত চিত্র তরুণ গবেষক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের তুলে ধরেছেন তাঁর মুক্তিযুদ্ধের গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের চিকিৎসা সহায়তা’ গ্রন্থে। যে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে ফেব্রুয়ারি-২০১৯, সময় প্রকাশনী থেকে। একের পর এক তিনি নিজের একনিষ্ঠতা আর পরিশ্রমের মাধ্যমে আমাদের সামনে উন্মোচন করে দিচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের অজানা এবং অনালোচিত বিষয়াদি। মুক্তিযুদ্ধের কথা যতটা আলোচিত হয়েছে, ততটা চর্চা হয়নি। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তাদের কাছে বিজয়ের চেয়ে আর বড় কিছু নেই। কারণ আমাদের সামনে সব সময় বিজয়ের গাথাই আওড়ানো হয়েছে। আমাদের বিজয়ের পেছনে কত যে জীবনের বলিদান রয়েছে, আমরা কখনো সেইসব স্মৃতিকে মনেও করতে চাইনি। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের নানা বিষয়াদি উঠে এলেও মুক্তিযুদ্ধে ভারতের চিকিৎসাকর্মীদের যে কতটা অবদান ছিল তা আমরা কেউই তুলে আনতে পারিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী চারটি রাজ্যের ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী ও মেডিকেল কলেজের শরণার্থীদের শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা উপেক্ষিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে। গবেষক সেই অবহেলিত বিষয়কেই তুলে আনার প্রয়াস পেয়েছেন তাঁর গবেষণায়।

একাত্তরের সময় প্রায় সত্তর লাখ শরণার্থীর আশ্রয় স্থান ছিল পশ্চিমবঙ্গ। এই শরণার্থীদের মধ্যে সে সময় দেখা দিয়েছে মহামারী আকারে কলেরা এবং চোখের রোগ। এদের সঙ্গে আরো জমা হয়েছে হাজার হাজার গুলিবিদ্ধ, আহত মানুষ। এই বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোকে আশ্রয় দিয়েছে ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। আসামের করিমগঞ্জ হয়ে বিপুল শরণার্থীর আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছিল অবিভক্ত কাছাড় জেলা। মেঘালয়ের বালাট কিংবা মাইলামে একদিকে শরণার্থী, অন্যদিকে মহামারীর আতঙ্ক। জীবন নিয়েই মানুষ মহাসংকটে জীবনযাপন করেছেন, যে সময় নিজের সন্তানকে রেখেই মা নিজে চলে গেছেন নিজের মতো পথ বেছে নিয়ে। সন্তানের মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে মা কিংবা বাবারা অবিরত হেঁটে চলেছেন। তারা নিজেরাও জানতেন না কোথায় তাদের শেষ ঠিকানা। শুধু জানতেন নিরাপদ কোনো আশ্রয়স্থলে তাদের যেতে হবে।

ত্রিপুরায় গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের একমাত্র ফিল্ড হাসপাতাল। একাত্তরে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও মেঘালয়ের সরকারি হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স, ও স্বাস্থ্য সহকারীদের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো চিকিৎসা করা এবং নার্সরা সে সময় জড়িয়ে পড়েছিলেন অন্যরকম এক জনযুদ্ধে, মানুষের জীবন বাঁচানোই ছিল তাদের একমাত্র ব্রত। সেই সোনামোড়া থেকে বিলোনিয়া, ধর্মনগর থেকে সাবরুমের গ্রাম থেকে গ্রামে। শরণার্থীদের সেবা, আশ্রয় প্রদান, চাঁদা সংগ্রহ, প্রতিবাদ, সমাবেশ, মুক্তিফৌজের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ পরিণত হয়েছিল সেই জনযুদ্ধের একেকজন যোদ্ধা। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক প্রবেশ করেছে পার্শ্ববর্তী ভারতে। ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ত্রিপুরা রাজ্যে ২৬ মার্চ  থেকে শরণার্থী প্রবেশ শুরু হয়। এ সময় অসীম মমতা দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল চিকিৎসাকর্মীরা। এসব দুঃখদিনের কাহিনী শোনা এবং সেইসঙ্গে সত্যতা বোঝার জন্য গবেষক বার বার ছুটে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থেকে বসিরহাট, বনগাঁ, নদীয়া, জলপাইগুড়ি, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার সাবরুম থেকে ধর্মনগর, আসামের বরাক উপত্যকা, ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা, মেঘালয়ের শিলং, তুরা, বালাট। সাংবাদিক সন সারের লেখনীতে আমরা দেখতে পাই— ‘ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন নেমে এসেছে। তীক্ষ্ন ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়েখুড়ে খাচ্ছে মরা মানুষের দেহ। তাদের চোখ চক চক করছে। কিন্তু মৃত মানুষের সংখ্যা এত বেশি যে শকুন খেয়ে শেষ করতে পারছে না।’ ভারতের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শরণার্থীদের সেবার জন্য ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘুরে বেড়িয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১৩ লাখ শরণার্থী গিয়েছিল। জেলায় মোট জনসংখ্যা ছিল ১৮ লাখ। চব্বিশ পরগণার বসিরহাট শহরে মোট জনসংখ্যা ৬৩ হাজার কিন্তু সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার শরণার্থী। নদীয়া জেলায় আশ্রয় নিয়েছে প্রায় তিন লাখ শরণার্থী। কোচবিহারে আশ্রয় পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী। আসামের করিমগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছে লক্ষাধিক শরণার্থী। মেঘালয়ের বালাট ও তুরা অঞ্চল পরিণত হয়েছে শরণার্থী শহরে। যে কারণে এখানকার নিয়মকানুন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে। এ সময় চিকিৎসাকর্মীদের ঘর বা সংসারের কথা ভাবার সময় ছিল না, তাদের শুধু একটাই চিন্তা- শরণার্থীদের জীবন কীভাবে বাঁচানো যায়। যে কারণে তারা ১২-১৮ ঘণ্টা কাজ করত। শরণার্থীদের বাঁশের কাঠামোতে ছোট ছোট ছাউনি করে তাদের সেখানে সেবা দিয়েছেন। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসব শরণার্থী ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে প্রবেশ করেছে— শরীর অপুষ্টতায় ভুগছে। তারা কলেরা, টাইফয়েড, পোলিও, চর্ম ও মানসিক রোগে আক্রান্ত। এ সময় শরণার্থীদের করুণচিত্র দেখে ডাক্তাররা বলেন, এর চেয়েও কুকুর-বিড়ালরাও ভালো করে মরে। এদেশের মানুষের জন্য একাত্তর শুধু বুলেট হয়েই আসেনি, এসেছে কলেরা-বন্যা হয়ে। পশ্চিমবঙ্গের কাঁঠালি গ্রামের নলিনী মোহন বিশ্বাস এসব শরণার্থীর সেবা করেছেন নিজের জীবনবাজি রেখে। যেখানে নিজের মা-বাবা সন্তানের মায়া করছে না। সেখানে নলিনী তাদের মুক্তির সনদ নিয়ে তাঁবুতে তাঁবুতে সেবা করেছেন। শরণার্থী বা মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তায় শুধু ডাক্তার-নার্স এগিয়ে এসেছিলেন তা নয়, অনেক সাধারণ মানুষও তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। গবেষকের কাছে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যখন মানুষের জায়গায় সংকুলান হচ্ছে না এমনকি ভারত সরকারও শরণার্থীদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি তাদের সঙ্গে তারা খেতে শুরু করে যেন তারা নিজেদের আলাদা ভাবতে না পারে। ত্রিপুরার হাবলু ব্যানার্জি, আসামের সীতু রায়, মেঘালয়ের অঞ্জলি লাহিড়ী, আহমেদ হোসেন কিংবা মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ঈপ্সিতা গুপ্ত একাত্তরের সেই কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সংগ্রহ করেছেন ওষুধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম, প্রয়োজনমতো ডাক্তার নিয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন এ-ক্যাম্প থেকে ও-ক্যাম্প।

‘এপার বাংলা ওপার বাংলা, জয় বাংলা জয় বাংলা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল সেদিন বনগাঁ থেকে কলকাতা, কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদের অলিগলি। মিছিল সমাবেশ, অনশনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার একাত্ম হয়েছিল বাংলাদেশের সহায়তায়। বাংলাদেশের স্বীকৃতির প্রশ্নে, মুজিবের মুক্তি, আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি রণাঙ্গনে পাকিস্তানকে প্রতিরোধ, অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গে সেদিন জড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ। অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের কথাতেই বোঝা যায় তারা আমাদের সেদিন কতটা আপন করে নিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমাদের বুকের একখানা কলিজা।’ ৮ এপ্রিল কলকাতা পৌরসভার মেয়র হরিদাসপুর সীমান্তে একটি অস্থায়ী ট্রানজিট শরণার্থী হাসপাতাল স্থাপন করেন। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার্থে ২৪ পরগনার বাকছড়ায় নেতাজি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। যশোর রোডের ওপর পেট্রাপোল-বনগাঁ সীমান্ত থেকে বারো মাইল দূরে একটি দোতলা বাড়িতে সেই হাসপাতাল চালু করা হয়। কলকাতার ডাক্তার সত্যেন বসুর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের চিকিৎসক দল যশোরের দিকে যাত্রা করেন। তারা নাভারন হাসপাতালে গিয়ে দেখেন শত শত ধর্ষিত নারীর করুণ আহাজারি। আমরা ড. কাদেরের তথ্যসূত্রে জানতে পারি একাত্তরে জামশেদপুরের ষোলোজন চিকিৎসক নিয়েছিলেন ভিন্ন একটি উদ্যোগ। চিকিৎসকদের এই দলটি শরণার্থীদের সহায়তায় প্রথমে স্থানীয়ভাবে শুরু করেন ওষুধপত্র সংগ্রহ এবং অক্টোবরে তারা চলে যান পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে। এ সময় তারা শরণার্থীদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ শরণার্থী শিবিরগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ রক্ষায় কাজ করেন। আইএমএ, পশ্চিমবঙ্গ চেতাই অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় একটি শল্য চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। আইএমএ, বাংলাদেশ রেড ক্রস ও সেন্ট জন অ্যাম্বুলেন্সের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলে তিনটি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করেন। ত্রিপুরার জিবি ও ভিএম হাসপাতাল একাত্তরে পরিণত হয়েছিল আমাদের অকৃত্রিম বন্ধুতে। জিবি হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ধর্ষিত নারীদের চিকিৎসা করা। এ সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন রথীন দত্ত ও তার স্ত্রী স্বপ্না দত্ত। এমনিভাবে হাসপাতাল বা কোনো সেবা প্রতিষ্ঠান শরণার্থী, ধর্ষিত, আহত মানুষকে বুকে টেনে নিয়েছেন। ভিএম হাসপাতালের আউটডোরে ২৬ হাজার শরণার্থীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। একাত্তরে লন্ডনে বসবাসরত এক হাজারেরও বেশি চিকিৎসক মিলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন, যার সভাপতি ডা. এ এইচ সায়েদুর রহমান এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। এ সময় নার্সের দায়িত্ব পালন করেছেন জাকিয়া, সুলতানা কামাল, সাইদা কামাল, সৈয়দ নুরুননাহার। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও মুক্তিযুদ্ধে বিশাল অবস্থান রয়েছে— যেমন প্রীতিরানী দাশ পুরকায়স্থ, জোছনা বিশ্বাসের অবদানের কথা বাঙালি কোনোদিন ভুলবে না। আহমেদ হোসেনের ভাই আফজাল হোসেন ’৭১-এর নাম ঠিকানাহীন শহীদদের কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। গবেষকের তথ্যমতে আমরা আরো জানতে পারি— মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল সময়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় গোহাটি, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি মেডিকেল টিম। জার্মানি সরকারের সহায়তায় এখানে পাঠানো হয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল। কলেরা মহামারী রোধে পাঠানো হয়েছিল পঞ্চাশ হাজার প্রতিষেধক। একাত্তরে চিকিৎসাসেবায় যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, তিনি অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বি। তার নাম আমরা সবাই জানলেও জানি না ডা. রথীন দত্ত, ডা. শিবাজি বসু, ডা. মনিজেন্দ্র শ্যাম কিংবা ডা. হেমন্ত শংকর রায় চৌধুরীর নাম। নয়াদিল্লির সরদার জং হাসপাতাল, উড়িষ্যা, দিল্লির চিকিৎসক- নার্সরা নানাভাবে জড়িয়ে গেছেন এই লড়াই-সংগ্রামের সঙ্গে। পূর্ব জার্মানি, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে কলেরার প্রতিষেধক। শরণার্থীদের পাশে সর্বক্ষণ থেকেছে রেড ক্রস ও ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। ডা. চৌধুরী শহীদ কাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে, যুক্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন ইতিহাসের অজানা এক ধুলোপড়া অধ্যায়, যা আমাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের চিকিৎসা সহায়তার এক অকাট্য দলিল হিসেবেই বিবেচিত হবে।

 

লেখক : গবেষক ও কবি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads