• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন সম্পর্কে জানতে হবে

‘প্রত্নতত্ত্ব: ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন সম্পর্কে জানতে হবে

  • জবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি আমাদেরকে প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন সম্পর্কে জানতে হবে। একটি জাতির বর্তমানকে বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যতের জন্য কর্মপ্রন্থা নির্ধারণে অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। তাই আমাদের আন্তঃশাস্ত্রীয় জ্ঞান চর্চা করতে হবে।’

আজ সোমবার বেলা সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রত্নতত্ত্ব: ইতিহাস ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোছাঃ খোদেজা খাতুন-এর সভাপতিত্বে সেমিনারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ‘A Talk on Buddhist Artifacts Recently Discovered from Wari Bateshwar and Vikrampur’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান প্রবন্ধটিতে বর্তমান নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রাচীন বাংলার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ব্যাপারে আলোকপাত করেন। তিনি উয়ারি বটেশ্বরকে বাংলার প্রাচীনতম দূর্গনগরী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং ময়নামতি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় নগরী গড়ে উঠেছিল বলে মতামত প্রদান করেন। তার প্রবন্ধে বিক্রমপুর ও উয়ারি বটেশ্বরের সর্বশেষ প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এবং গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন।

এছাড়া সেমিনারে ভারতের কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির কিউরেটর ড. কেকা ব্যানার্জী ‘Buddhist Vestiges of West Bengal : A Asuvey’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ড. কেকা ব্যানার্জী তার প্রবন্ধে প্রাচীন বাংলায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব আলোচনা করেন।

প্রবন্ধদ্বয়ের ওপর আলোকপাত করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বুলবুল আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রধান করেন ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া ,স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম। এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads