• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শিক্ষককে ‘টাক’ বলার জেরে ঢাবির ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল

সংরক্ষিত ছবি

শিক্ষা

শিক্ষককে ‘টাক’ বলার জেরে ঢাবির ৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৭ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিমকে ফেসবুকে ‘টাক’ বলাসহ অশোভন আচরণ করায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল। প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়, যা সোমবার (৩০ জুলাই) বিভাগের নোটিশ বোর্ডে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

এ বিষয়ে প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন- ‘ফেসবুকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষককে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিল বিভাগের ৭ শিক্ষার্থী। এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের ১০ জুলাই বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

বহিষ্কৃতরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের খাইরুন নিসা ও উম্মে হাবিবা তানজিলা, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজুল আবেদিন, ফাতিমা ও সামিরা মাহজাবিন, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ-হীল-বাকী ও অদিতি সরকার। এরমধ্যে খাইরুন নিসা ও মিনহাজুল আবেদীনকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে অধ্যাপক রেজাউল করিম কয়েকজন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। অন্য শিক্ষার্থীরাও সেখানে নিজেদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করে মন্তব্য করেন। একজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে ‘টাক’ বলেও মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিভাগের একাডেমিক কমিটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads