• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাজেট সহায়তার অর্থ ব্যয় প্রাথমিক শিক্ষায়

বাজেট সহায়তার অর্থ ব্যয় প্রাথমিক শিক্ষায়

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা

বাজেট সহায়তার অর্থ ব্যয় প্রাথমিক শিক্ষায়

১৯২৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে ইইউ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

২০০৮-০৯ অর্থবছরের পর বাংলাদেশে বড় অঙ্কের বাজেট সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ৭৫ কোটি মার্কিন ডলারের এ সহায়তার প্রথম ধাপে ২৫ কোটি ডলারের চুক্তিও করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের পর এবার ২০ কোটি ইউরোর বাজেট সহায়তা নিয়ে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পাশাপাশি আরো ৫৫ লাখ ইউরোর সম্পূরক সহায়তা দেবে সংস্থাটি। ২০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুদান চুক্তি করেছে সংস্থাটি। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা ছাড় হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে সংস্থার রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংক চুক্তিতে সই করেন। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এএফএম মঞ্জুর কাদের উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ অর্থ দিচ্ছে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। চলমান প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির চতুর্থ পর্ব (পিইডিপি-৪) বাস্তবায়নে অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি ব্যয় হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ।

চুক্তি শেষে  ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিংক বলেন, আগামী এক দশকে বাংলাদেশে ২ কোটি ১০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে। তাদের কর্মসংস্থান উপযোগী করে গড়ে তুলতে মানসম্পন্ন প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষা প্রয়োজন। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা

বাজেট সহায়তার অর্থ ব্যয় প্রাথমিক শিক্ষায়

জনসংখ্যার বোনাসের সুফল পেতে, দারিদ্র্য হ্রাস এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পিইডিপি-৪ বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এর কাজ শেষ হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী দ্রুত শিক্ষা বিস্তার ও সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করা এবং কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্য সামনে রেখে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, এর আগে তিন পর্যায়ে পিইডিপি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য নানা প্রকল্প রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় পিইডিপি-৪ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ইইউর এই অনুদান বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads