• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
ফোনের বদলে বই তুলে দিন : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষা

ফোনের বদলে বই তুলে দিন : তথ্যমন্ত্রী

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্মার্টফোনের পরিবর্তে কিশোর-কিশোরীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অবশ্যই আজকে সময়ের বাস্তবতা। এ মাধ্যমে হারানো বন্ধুদের খুঁজে পাওয়া যায়। পত্রিকা বা টেলিভিশন ছাড়াই একটি ঘটনা লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। তবে এ মাধ্যমের ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। নেতিবাচক দিক থেকে আমাদের কিশোর-কিশোরীদের রক্ষা করতে হবে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ করব, স্মার্টফোনের পরিবর্তে তাদের হাতে বই তুলে দিন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে আয়োজিত একুশে বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রামের সৃজনশীল লেখক প্রকাশকদের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগে বই পড়া মানুষের নেশা ছিল। এখন নেশাটা চলে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এর একটি বিরূপ প্রভাব সমাজের ওপর পড়েছে। স্বপ্ন দেখা ও তা বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করা শিখতে হলে কিশোর-কিশোরীদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এটি তাদের জীবনে অনেক উপকার বয়ে আনবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী আহমেদ খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। রিজভী আহমেদ তার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারান্তরে বলতে চেয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যেন প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী সাজা দেননি, তাকে আদালত সাজা দিয়েছেন। তিনি মুক্তি পাবেন কি পাবেন না এটি আদালতের ওপর নির্ভর করে।

সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী শামসুদ্দোহা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, প্রকাশক শাহ আলম নিপু, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ প্রমুখ। এর আগে বিকাল ৫টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মন্ত্রী বইমেলা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সহায়তায় আয়োজিত ১৯ দিনব্যাপী এই মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১১০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে মেলা শুরু হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads