• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত নকল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত নকল

পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে বই দেখে

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২২ জুন ২০১৯

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের কান্দিপাড়া আব্দুর রহমান ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা। গতকাল শুক্রবার সকালে এইচ এসসি প্রথম বর্ষের সমাজকর্ম পরীক্ষা চাকালে কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ পরীক্ষার্থী টেবিলের উপর বই রেখে আবার অনেকেই বইয়ের ছেড়া পাতা দেখে উত্তরপত্র লিখছেন। একই দিন বিকেলে এইচ এসসি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাতেই দেখা গেছে নকলের এমন ভয়ঙ্কর চিত্র। শুধু তাই নয়, একজন পরীক্ষার্থীর টেবিলের উপর রাখা বই দেখে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী লিখছেন। এমন উন্মুক্তভাবে নকলের সহায়তাকারী অনেককে দেখা গেলেও প্রতিরোধে কাউকে দেখা যায়নি।

এ প্রতিবেদকসহ কয়েকজন সাংবাদিক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে পরীক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের দোহাই দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রের অফিসে দীর্ঘসময় বসে থাকার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে সংবাদিকদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি মিলে। পরীক্ষার হলে প্রবেশের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কড়া দৃষ্টি রাখেন সাংবাদিকদের উপর। সাংবাদিকরা কৌশলে সবার চোখ এড়িয়ে মুঠোফোনে ধারন করা হয় অবাধে বই দেখে লেখার চিত্র। এ সময় পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষক সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন ভাই বুইঝা নেন এখানে কেমন পরীক্ষা হচ্ছে। আপনারা থাকলে পরীক্ষার্থীরা লিখতে পারবেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন যারা দুর্বল যাদের আর কোন উপায় নেই তারাই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়। শিক্ষা নয়, সার্টিফিকেট পাওয়াটাই তাদের মূল লক্ষ্য। এদেরকে কিছুটা ফ্রি স্টাইলে নকল করার সুযোগ না দিলে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই ফেল করবে। আর ফেল করলে বাউবিতে ছাত্র-ছাত্রী অনেক কমে যাবে। তবে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী দাবী করে বলেন অন্য বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষায় নকল অনেকটাই কম হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব উর রহমানের কাছে উম্মুক্ত নকল হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আপনি এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ওই কেন্দ্রে উম্মুক্ত নকল হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বাউবির পরীক্ষার কোন দায়িত্বে তিনি নেই বলে জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads