• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে না। ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। আগামী বছর থেকে প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০০টি বিদ্যালয়ে পাইলটিং হিসেবে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমাতে আমরা প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। সে লক্ষ্যে আমরা গত ছয় মাস ধরে কাজ করেছি। তবে চতুর্থ শ্রেণি থেকে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পাইলটিং কার্যক্রম শেষ হলে ২০২১ সাল থেকে দেশের ৬৫ হাজারেরও বেশি বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা বাতিল করে ক্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। পাশাপাশি ২০২১ সাল থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠেছে। এসব চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্ডারগার্টেনগুলোকে আইনের আওতায় আনতে তালিকা হচ্ছে। এ জন্য ৮টি টাস্কফোর্স টিম কাজ করছে। যারা নিবন্ধনের আওতায় আসবে তাদের শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। নিবন্ধন না থাকলে সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে দেশে গত এক বছরের সাক্ষরতার হার মাত্র এক শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার শতকরা ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে যা ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। এক বছরে সাক্ষরতার হার বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে। এবারের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে বহুভাষায় সাক্ষরতা, উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা। তবে এবার যে এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট নই। এ বছর আমরা আরো এগিয়ে যাব বলে আশা করছি।

দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর ব্যক্তিকে সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৩৪ উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জনকে স্বাক্ষর করতে শেখানো হয়েছে।

দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনো অনেক শিশু বিদ্যালয়ে যায় না। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পিইডিপি-চারের সাব-কম্পোনেন্টের আওতায় আট থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads