• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বশেমুরবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের খবরে শিক্ষার্থীদের উল্লাস

ছবি: বাংলাদেশের খবর

শিক্ষা

বশেমুরবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগের খবরে শিক্ষার্থীদের উল্লাস

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের খবরে উল্লাসে ফেটে পড়েছে শিক্ষাথীরা। তারা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করছে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। রং ছিটাচ্ছে। বাদ্যযন্ত্র দিয়ে আনন্দ উল্লাস করছে। মিষ্টি বিতরণ করছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সামস জেবিন জানিয়েছেন অনিয়ম,দুর্নীতি,নৈতিক স্খলন এবং নানাবিধ দুর্নীতির জন্য ১২ দিনের আন্দোলনে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন উপাচার্য। তার পদত্যাগেই হবে না ওই ভিসি খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের স্বেতপত্র প্রকাশ করে তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।

আন্দোলনের ১২তম দিনে আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলন,পরিচ্ছন্ন অভিযানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরন অনশন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে শিক্ষার্থীরা। এসময় খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আন্দোলনস্থলে যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। আন্দোলনের অংশ হিসাবে বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল গালিব। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ইউজিসিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। একই সঙ্গে ইউজিসি’র সুপারিশ আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানানো হয়। পরে দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিকাল ৪টায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত নিয়মিত কর্মসূচী অর্থাৎ ভিসির অপসারনের এক দফা দাবীতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে যাবেন বলে শিক্ষার্থীর ঘোষণা দেন।

গতকাল রোববার ইউজিসির ৫ সদস্যের তদন্ত দল তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসিকে অপসারনের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপরই ওই দিনই রাত ৯টার দিকে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলো ছেড়ে পুলিশ পাহারায় ঢাকায় যান। আজ সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কালীর অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবীতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads