• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

শিক্ষা

সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন

রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ নভেম্বর ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে ছাত্রলীগের দুই কর্মী রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম এ বারী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।

সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীরকে সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জুলকার নায়েন ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসানুর রহমান।

এদিকে এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী ও অভিযুক্তদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ছাত্রলীগ কর্মী আকরাম হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগ কর্মী রুহুল আমিন, মশিউর রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আবদুল কাদের জিলানী। মানববন্ধন শেষে তারা ছয় দফা দাবি জানিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে চিঠি দেন।

দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ঘটনার রহস্য উদঘাটন, আবাসিক হলে বহিরাগতদের মাদক আড্ডা বন্ধ করা, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার মূল হোতাকে শাস্তির আওতায় আনা, ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির নিশ্চিত ও এক পক্ষের তথ্য নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত না দেওয়ার দাবি জানান তারা।

এর আগে, মারধরের ঘটনায় রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে হামলায় জড়িত দুই ছাত্রলীগ কর্মী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রাকিবুল ইসলাম আসিফ লাক এবং বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হুমায়ুন কবির নাহিদকে সাময়িক বহিষ্কার করেন প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মধ্যরাতে সোহরাব মিয়াকে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ২৫৪ নাম্বার রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে মাথা ও হাতে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিবুল ইসলাম (আসিফ লাক) ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় পরদিন শনিবার ভূক্তভোগী সোহরাব হোসেন নিজে বাদী হয়ে রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক, হুমায়ুন কবির নাহিদ এবং আকিবুল ইসলাম রিফাতের নাম উল্লেখ করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। সেদিন বিকেলে আকিবুল ইসলাম রিফাতকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় মতিহার থানা পুলিশ।

বাকিদের গ্রেপ্তার বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ওই দুই আসামী এখন রাজশাহীর বাইরে অবস্থান করছে বলে জেনেছি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads