• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮

শিক্ষা

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড

নয় বছরে ঝরে পড়েছে দেড় লাখেরও বেশি জে এস সি পরীক্ষার্থী

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৯

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন জুনিয়র স্কুল সাটিফিকেট (জে এস সি) পরীক্ষায় গত ৯ বছর পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ জন। এ সময়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে রেজিট্রেশন করে ২২,৭২,৬৯৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২,১১৫,১২৭ জন পরীক্ষার্থী।

২০১০ সালের জে এস সি পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু হলেও ঐ বছর কোন পরীক্ষার্থী ঝরে পড়েনি।

পরবর্তীতে ২০১১ সালে বোর্ডের ১ হাজার ৭৩৪টি বিদ্যালয়ের ১লাখ ৮০ হাজার ৪শ’ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষা অংশ নেয় করে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন এবং ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৫২৪ জন।
২০১২ সালে ১ হাজার ৭৪০টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৯২ হাজার ১৩১ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ অংশ নেয় ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬১ জন এবং ঝরে পড়ে ১৩ হাজার ৮৭০ জন।
২০১৩ সালে ১ হাজার ৭৫৯ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯২ জন এবং ঝরে পড়ে ১১ হাজার ৮৬৪ জন।
২০১৪ সালে ১ হাজার ৭৭৮টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮১ জন রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৭ জন এবং ঝরে পড়ে ২৪ হাজার ১৩৪ জন।
২০১৫ সালে ১ হাজার ৯৩৮টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯০ জন রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫ জন এবং ঝরে পড়ে ১২ হাজার ৯৮৫ জন।
২০১৬ সালে ১ হাজার ৮৭০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৫০ হাজার ২৮ জন এবং ঝরে পড়ে ১২ হাজার ৪৬০ জন।
২০১৭ সালে ১ হাজার ৮৭৪ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৭০ হাজার ৯৭৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৬০১ জন এবং ঝরে পড়ে ২২ হাজার ৩৭৫ জন।
২০১৮ সালে ১ হাজার ৮৯৯ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ২৮ হাজার ৮৮৪ জন এবং ঝরে পড়ে ২৮ হাজার ৯৪৪ জন।
২০১৯ সালে ১ হাজার ৯৩০ টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৬১ হাজার ৯০৬ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৯০ জন এবং ঝরে পড়ে ১৯ হাজার ৪১৬ জন।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আবদুস সালাম বলেন, বিভিন্ন কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। যেমন বাল্যবিবাহ, দারিদ্র, পড়াশোনার প্রতি অনিহা, অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়া ইত্যাদি। তিনি এ বোর্ডের ঝরে পড়ার হার দেশের অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে কম বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads