• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আরো ১১ হাজার কোটি টাকা দিল জাপান

ছবি : সংগৃহীত

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

মাতারবাড়ী প্রকল্প

আরো ১১ হাজার কোটি টাকা দিল জাপান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ জুলাই ২০১৯

মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আরো ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। ৪০তম ঋণ প্যাকেজের আওতায় এ ঋণ দিল সংস্থাটি। গতকাল রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে একটি বিনিময় নোট ও ঋণ চুক্তি সই হয়।

এতে সই করেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়েচু ইজুমি ও জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতোশি হিরাতা। এই ঋণের বাৎসরিক সুদের হার প্রকল্প নির্মাণকাজের জন্য ০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পরামর্শক সেবার জন্য ০ দশমিক ০১ শতাংশ। ঋণ পরিশোধকাল ১০ বছর। তবে গ্রেস পিরিয়ডসহ ধরা হয়েছে ৩০ বছর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)।

৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। এই জাইকা থেকে আসছে ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা, সরকারি খাত থেকে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ১১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এই কেন্দ্রে দুটি ইউনিট থেকে ৬০০ করে মোট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।  এটি সম্পূর্ণভাবে আমদানিকৃত কয়লার ওপর নির্ভরশীল। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার প্রাথমিক কথা হয় ২০২০ সালে। এখন নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে।

এ ছাড়াও আরো দুটি প্রকল্পের আলাদা আলাদা ঋণ চুক্তি সই হয়েছে। এর মধ্যে দ্য প্রজেক্ট ফর দ্য ডেনসিফিকেশন অব গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম কন্টিনিয়াসলি অপারেটিং রিফারেন্স স্টেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য মর্ডানাইজেশন অব টাইডাল স্টেশনস ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় ৯৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ঋণ চুক্তি সই হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে নির্ভুল জরিপ এবং ম্যাপিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে বাস্তবায়ন হবে।

দ্য প্রজেক্ট ফর হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ প্রকল্পের আওতায় হয়েছে ৮৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ঋণ চুক্তি হয়েছে। এটি ২০০১ সালে শুরু হয়েছে এবং চলবে ২০২০ সাল পর্যন্ত। এর আওতায় বিসিএস ক্যাডার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বৎসর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্সের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ২৯৩ জন সরকারি কর্মকর্তা জাপানে বিভিন্ন কোর্সে মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ৬০ জন অধ্যয়নরত এবং ৩০ জন কর্মকর্তা সর্বশেষ ব্যাচে জাপানে অধ্যয়নের জন্য যাবেন। প্রসঙ্গত, দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে ঋণ দিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads