• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
করোনায় প্রাণ হারালেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ

সংগৃহীত ছবি

ইউরোপ

বৈশ্বিক মহামারী

করোনায় প্রাণ হারালেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩০ মার্চ ২০২০

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ২১ হাজার ৪১২ জন। যাদের মধ্যে এক লাখ ৫১ হাজার ৪ জন সেরে উঠেছেন।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার্স ডট ইনফোর হিসাব অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৯৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন সাত লাখ ২১ হাজার ৪১২ জন।

অন্যদিকে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিসিনের করোনা ভাইরাস রিসোর্স সেন্টার বলছে, মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলের মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ইতালি ও স্পেনের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। দেশ দুটিতে শত শত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশের অবস্থাও খারাপ।

ইতালিতে এই বৈশ্বিক মহামারীতে নতুন করে ৭৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি রোববার এমন খবর দিয়েছে। এতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইউরোপের দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেছে। এ নিয়ে ইতালিতে সর্বমোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭৭৯ জনে।

চলমান প্রাণঘাতী মহামারীতে বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় ইতালিতে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সংক্রামকে বিশ্বের সর্বমোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ঘটেছে সেখানে।

ইতালিতে একদিনে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছিল শুক্রবার, ৯১৯ জন। আর পরের দিন শনিবার মারা গেছেন ৮৮৯ জন। সেখানে শনিবার সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯২ হাজার ৪৭২ জন, পরের দিন সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৬৮৯ জনে।

রোববার পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশটিতে ১৩ হাজার ৩০ জন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে গেছেন। আগের দিন যে সংখ্যাটা ছিল ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৯০৬ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রয়েছেন। ইতালিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে লম্বার্ডি অঞ্চল। রোববার সেখানে ৪১৬ জন মারা গেছেন।

চলমান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাসব্যাপী লকডাউন আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইতালীয় কর্তৃপক্ষ। মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ফ্যাবরিজিও প্রেগলিয়াসকো বলেন, ভাইরাসের বিস্তারে ধীরগতি আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এতে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে, তা বলা যাবে না। বরং এটি ভালো লক্ষণ।

সূত্র : ওয়ার্ল্ডওমিটার্স

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads