• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
এক দিনে ৫৫ বাংলাদেশিসহ তিন শতাধিক আটক

সংগৃহীত ছবি

প্রবাস

মালয়েশিয়ায় সাঁড়াশি অভিযান

এক দিনে ৫৫ বাংলাদেশিসহ তিন শতাধিক আটক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মালয়েশিয়ায় চলমান অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানে গত শুক্রবার ৫৫ বাংলাদেশিসহ ৩৩৮ বিদেশি শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। সাইবারজায়া শহর থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন দফতরের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোস্তাফার আলী। এদিকে কারামুক্ত বাংলাদেশিরা কারাগারে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন।

অভিযানের পর মোস্তাফার আলী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকে ‘অপস মেগা ৩.০’ নামে সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে সাইবারজায়া শহরে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ২ হাজার ২৩০ জন বিদেশি শ্রমিকের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। সেখান থেকে ৩৩৮ জনের নথিপত্র বৈধ না হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৫ জন বাংলাদেশি, ২০৮ জন ইন্দোনেশীয়, ২৮ জন বর্মী এবং ৪৭ জন নেপালি রয়েছেন। মোস্তাফার আলীর ভাষ্য, আটকদের বেশিরভাগই এক কোম্পানির পরিচয়ে এসে অন্য কোম্পানির কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। এই জালিয়াতিতে অল্প কিছু কোম্পানিই জড়িত। আটকদের বুকিত জালিল ইমিগ্রেশন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার তিনটি ব্লকে একযোগে অভিযান চালায় স্পেশাল বাহিনীর ৭১ জনের টিম। আটকদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ ও ১৯৬৩ আইনের আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার আউট পাস সংগ্রহ করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসে অবৈধ শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল পাস ইস্যুর ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

এদিকে দেশটির বিভিন্ন কারাগার থেকে মুক্ত বাংলাদেশিরা তাদের ওপর সেখানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। তাদের একজন মুন্সীগঞ্জের হাসান জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর সমস্ত বৈধ দলিলপত্র দেখানোর পরও ইমিগ্রেশন পুলিশ কুয়ালালামপুরের বুকিতবিন্তাং এলাকা থেকে তাকেসহ কয়েকজনকে আটক করে বন্দিশিবিরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বস্ত্রহীন অবস্থায় রাখা হয় ও কানে ধরে উঠবস করানো হয়। বন্দিদশা থেকে বেরিয়ে আসতে পুলিশকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জানান তিনি। হাসান আরো জানান, বন্দিশিবিরে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের প্রবাসী শ্রমিককে একসঙ্গে রাখা হয়েছিল এবং সবার সঙ্গে একইরকম আচরণ করা হয়েছিল। কুয়ালালামপুরের কোটারায়াতে বসবাসরত নাইমুল হক বলেন, ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদনপত্র ও সব প্রয়োজনীয় ফি দেওয়ার পরও আমাকে ১৭ দিন ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে বন্দি রাখা হয়। এ সময় আমি কানে ধরে উঠবসসহ অনেক অপমানের সম্মুখীন হই। মেঝেতে বসিয়ে রাখা হয় এবং প্রথম দিনে কোনো খাবারও দেওয়া হয়নি। আমার অপরাধ কী- বারবার জিজ্ঞেস করেও উত্তর পাইনি। তিনি বলেন, এখানে আমাদের, বিশেষ করে বাংলাদেশিদের কোনো মর্যাদা নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads