• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কলকাতায় সেতু ধসে নিহত ১

কলকাতায় ভেঙে পড়লো ব্রিজ

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

কলকাতায় সেতু ধসে নিহত ১

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভারতের দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা-ডায়মন্ড হারবার সড়কের মাঝেরহাট সেতুর একাংশ গতকাল মঙ্গলবার ধসে পড়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরো চারজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় ১৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে কলকাতার পোস্তা উড়ালপুলের নির্মীয়মাণ অংশ ভেঙে পড়েছিল। মাত্র ছয় মাসের ব্যবধানে রাজ্যটিতে ফের এই দুর্ঘটনা ঘটল। আনন্দবাজার ও এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে সেতুটির ১০০ মিটারের বেশি অংশ আচমকা ভেঙে পড়ে। এ সময় ভাঙা অংশের ওপর একটি বাস, একটি লরি, পাঁচটি গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় কয়েকজন শ্রমিক সেতুতে কাজ করছিলেন। ওই নির্মাণ শ্রমিকদের অস্থায়ী থাকার জায়গা ছিল সেতুটির নিচে। তাদের কেউ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন কি না তা নিশ্চিত করতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, সেনাবাহিনী, সিআইএসএফ, পুলিশ, দমকল বাহিনী ও বিপর্যয় মোকাবেলা কমিটির সদস্যরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন। সেতুর বিভিন্ন ভিম ও পিলারের সাহায্যে ভেঙে পড়া অংশে সাপোর্ট দেওয়া হয়, যাতে বাকি অংশটাও ভেঙে না পড়ে। ৪০ বছরের পুরনো সেতুটির যন্ত্রাংশ সংস্কারের অভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নিউ আলিপুর থেকে বেহালা যাওয়ার ফ্লাইওভারের সংযোগ সেতু এটি।

দুর্ঘটনার পর পরই হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইটবার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছান মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকার দায়ী। তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) শহরের সৌন্দর্যায়নের কথা বলছেন, অথচ ৪০ বছরের পুরনো সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads