• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
মুম্বাইয়ে লাখো কৃষকের বিক্ষোভ

ছবি : ইন্টারনেট

ভারত

ভূমি অধিকার ও ঋণ মওকুফের দাবি

মুম্বাইয়ে লাখো কৃষকের বিক্ষোভ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর ২০১৮

বছরের পর বছর ধরে চাষ করা খাস জমির মালিকানা ও ঋণ মওকুফসহ বেশ কিছু দাবিতে মুম্বাইয়ে আবারো বিক্ষোভ করেছেন মহারাষ্ট্রের লাখো কৃষক। গতকাল বৃৃহস্পতিবারের এ বিক্ষোভে কৃষকরা খরা আক্রান্ত এলাকার জন্য ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিক্ষোভকারীরা ভোর ৫টায় রাজপথে নামে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে। নগরের যানজট এড়াতে পুলিশ তাদের একঘণ্টা আগে পথে নামতে অনুরোধ করে। সকাল ১১টায় বিক্ষোভকারীরা আজাদ ময়দানে পৌঁছান। সেখানে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারা বলেন, সমস্যা সমাধানে সরকারের প্রতিশ্রুতির আট মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কিছুই হয়নি। বন বিভাগের কর্মকর্তারা এখনো আমাদের হয়রানি করে।

কৃষকদের পাশাপাশি আম আদমি পার্টি ও মুম্বাইভিত্তিক কিছু সামাজিক গোষ্ঠীও বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়াদের বেশিরভাগই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার। তারা কৃষি ঋণ মওকুফের পাশাপাশি শস্য, দুধ ও অন্যান্য ফসলের বাড়তি দাম নির্ধারণেরও দাবি জানান। গত বছরের জুনে মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের ৩৪০ বিলিয়ন রুপি ঋণ মওকুফের ঘোষণা দেয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সব কৃষকের উপকারে আসেনি বলে জানায় কৃষক সংগঠনগুলো।

কৃষকরা দাবি জানায়, বনের যেসব জমি তারা দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছেন সেগুলোর মালিকানা যেন তাদের দেওয়া হয়। খরা আক্রান্ত এলাকার জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তারা। বিক্ষোভকারীরা বলেন, মহারাষ্ট্রের এ রাজধানীতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অনেক বড় কোম্পানির সদরদফতর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে ওই জমিগুলো চাষ করছি, কিন্তু ওগুলোর মালিক আমরা নই। এর আগে চলতি বছরের মার্চেও কৃষকরা মুম্বাইয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। সেসময় রাজ্য সরকার জমির সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৃষকদের শান্ত করেছিল। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি। 

উল্লেখ্য, আগামী বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আসছে মাসগুলোতে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে। তার আগে বিজেপিশাসিত পশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে আবারো কৃষক বিক্ষোভ ক্ষমতাসীন দল বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কৃষকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরের সমীক্ষায় দেখা যায়, কৃষকদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ কারণে সেই সমর্থন কমিয়ে দেবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads