• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ভারত

কৃষক বিক্ষোভ ঠেকাতে দিল্লির সীমান্ত সিলগালা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ ডিসেম্বর ২০২০

ভারতের কৃষক বিক্ষোভ থেকে রাজধানী অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির সীমান্ত। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। খবর এএনআই।

কৃষক সংগঠনগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর গত রোববার গভীর রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে দিল্লি সীমান্ত সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় আনন্দবাজার পত্রিকা।

গতকাল সোমবার গুরু নানকের জন্মদিনেও পরিস্থিতির কোনো বদল হয়নি। দিল্লির সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষুব্ধ মিছিলের ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। সারারাত ধরে চলা শীর্ষ নেতাদের বৈঠক থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে - দিল্লির সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানার নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হয়েছে, টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমানায় যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় খোলা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। বিক্ষোভকারী কৃষকদের দাবি- ৫০০ সংগঠনের অন্তত তিন লাখ কৃষক তাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাদের একমাত্র দাবি কৃষকদের স্বার্থবিরোধী আইন বাতিল করতে হবে। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবেন। কৃষক বিক্ষোভের একজন শীর্ষ সংগঠকের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, চার মাস পর্যন্ত রাস্তায় থাকার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে এনেছেন তারা।

এদিকে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গে বিজেপি সরকারের আচরণের নিন্দা জানিয়েছে শিবসেনা। তীব্র শীতের মধ্যে কৃষকদের ওপর জলকামান ব্যবহারের বিষয়টি নিষ্ঠুর ঘটনা বলেও মনে করে শিবসেনা। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত পাঁচ দিন ধরে বিক্ষোভ করছে কৃষকরা। কোনো ধরনের শর্ত মেনে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ কৃষকরা। এমনকি দিল্লিতে প্রবেশের প্রধান পাঁচটি পথ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে তারা।

শিবসেনার মুখপত্র সামানায় একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, আমাদের কৃষকদের জঙ্গিদের মতো বিবেচনা করে আচরণ করা হচ্ছে এবং যখন কাশ্মীরে আমাদের সেনাদের সন্ত্রাসীরা হত্যা করছে, তখন দিল্লি সীমান্তে আমাদের কৃষকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে।

বিজেপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় বলেও মন্তব্য করা হয় ওই সম্পাদকীয়তে। তাতে প্রশ্ন তোলা হয়, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চূর্ণ করতে সর্বাত্মক শক্তি ব্যবহার করছে, তাহলে দেশের শত্রুদের বিপক্ষে লড়াই করার সময় এই সংকল্প দেখা যাচ্ছে না কেন? গত এক মাসে মহারাষ্ট্রের ১১ জন সৈনিক সীমান্তে শত্রুদের বিপক্ষে লড়াই করার সময় মারা গেছে, সেই ষিয়টিও উল্লেখ করা হয়। তারা আরো লিখেছে, সরদার প্যাটেলের মূর্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ নির্মাণ করে নিয়েছেন। কৃষকদের নেতা ছিলেন প্যাটেল। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বহু কৃষকের হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। কৃষকদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, সেটা দেখে এখন তার মূর্তির চোখ অবশ্যই আর্দ্র হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads