• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

আইপিএল

কেন ম্যাচসেরা নন সাকিব?

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৮

অসাধারণ খেললেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যেই শনিবার রাতের ম্যাচে তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) দলকে। ম্যাচে সাকিবের পুরনো দল কলকাতার ৮ উইকেটে ১৩৮ রানের জবাবে হায়দরাবাদ ৫ উইকেটে ১৩৯ রান করেছে।

ম্যাচে সাকিব সেরা নৈপুণ্য দেখালেও তাকে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে। তিনি বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে ২টি উইকেট লাভ করেন এবং ব্যাট হাতে করেন ২১ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ২৭ রান। ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে স্ট্যানলেককে। যিনি সাকিবের মতোই ২১ রানে ২টি উইকেট নেন। অথচ তিনি ব্যাটিংয়েই নামেননি।

প্রথম ম্যাচে বিরাটের দলের বিরুদ্ধে জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচেই পদস্খলন। তবে সেটা ছিল চেন্নাইয়ের মাঠে। আর তাই কলকাতা নাইট রাইডার্স ফ্যানেরা আশা করেছিলেন, যতই প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে ইডেনে পা রাখুক সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, শেষ হাসি হাসবেন স্বাগতিকরাই। কারণ গত কয়েক বছরে নিজেদের ঘরের মাঠকে একেবারে দুর্গ বানিয়ে ফেলেছিল কলকাতা। কিন্তু কলকাতার সমর্থকদের সে আশায় পানি ঢেলে দিলেন সাকিবরা। কার্যত বিপক্ষের বোলিংয়ের সামনেই ভেঙে পড়ে কলকাতার ব্যাটিং লাইনআপ। যে দল গত ম্যাচে ২০৩ রান বিপক্ষকে টার্গেট দিয়েছিল, তারাই ইডেনে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল মাত্র ১৩৮ রান। ফল যা হওয়ার তাই হলো, সহজেই জয়লাভ করল ওয়ার্নার বিহীন হায়দরাবাদ।

ইডেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আর অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের মান রাখেন তার বোলাররা। এদিন নারিনের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা উত্থাপা ব্যর্থ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৮ বলে মাত্র ৩ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন তিনি। এরপর তিন নম্বরে নামা নীতিশ রানা এবং আরেক ওপেনার ক্রিস লিন দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় রানা ফিরে যান। দ্রুত আউট হন সুনীল নারিনও (৯)। লিন কিছুটা চেষ্টা করলেও ৩৪ বলে ৪৯ রান করে ফিরে যান তিনিও। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক (২৭ বলে ২৯) কিছুটা চেষ্টা করলেও সেটা যথেষ্ট ছিল না। হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ভুবনেশ্বর। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া স্ট্যানলেক এবং সাকিব আল হাসান দুটি করে উইকেট পান।

ইডেনের এই পিচের সঙ্গে কয়েক বছর আগের পিচের বিস্তর ফারাক। আর সে কারণেই ১৩৯ রান কখনই ভয়ঙ্কর কোনো স্কোর ছিল না উইলিয়ামসনদের কাছে। কলকাতার বোলাররা চেষ্টা করলেও শেষ হাসি হাসে হায়দরাবাদ। শুরুতে উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান পাপালি ১৪ বলে ২৪ রান করে হায়দরাবাদের শুরুটা ভালো করে দেন। এরপর একদিক সামলে রাখেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক। ধাওয়ান (৭), মনীশ পান্ডে (৪) দ্রুত ফিরলেও সাকিবকে (২৭) সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন উইলিয়ামসন (৫০)। শেষপর্যন্ত দুজনই আউট হলেও বাকি কাজটা সারেন ইউসুফ পাঠান (১৭ অপরাজিত) এবং দীপক হুডা (৫ অপরাজিত)। কলকাতার সবচেয়ে সফল বোলার সুনীল নারিন। চার ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া মিচেল জনসন, কুলদীপ যাদব এবং চাওলা একটি করে উইকেট পান। কলকাতা দলে রিঙ্কু সিং এবং বিনয় কুমারের স্থানে সুযোগ পান শুভমান গিল ও শিবম মাভি। কিন্তু গিলকে যেমন একদম শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়, তেমনি মাভিকে দিয়ে মাত্র ১ ওভার বল করানো হয়।

এদিকে টানা তিন ম্যাচ জিতে লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকল হায়দরাবাদ দল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads