• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি: ইন্টারনেট

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশে হচ্ছে আরো ৫ হাইটেক পার্ক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০১৮

দেশের আরো পাঁচটি নতুন হাইটেক পার্ক হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্টের (পিএসডিএসপি) আওতায় নতুন এই হাইটেক পার্কগুলো নির্মিত হবে।

গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্বব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা বৈঠক করেছে। সেখানেই এই প্রকল্পের অধীনে ১২ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯৭৬ কোটি টাকা ঋণ সহায়তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন এই পাঁচটি পার্ক নিয়ে দেশে এখন হাইটেক পার্কের সংখ্য দাঁড়াচ্ছে ৩৩টিতে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড়ের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট সেক্টর ডেভেলপমেন্ট সাপোর্ট প্রজেক্টের (পিএসডিএসপি) আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে এ সহায়তা চাওয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই সংক্রান্ত টুকিটাকি সকল বিষয় অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। এর পরই আমরা পার্কগুলোর নির্মাণকাজ শুরু করব।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, নতুন পাঁচটি হাইটেক পার্ক হচ্ছে সিরাজগঞ্জ হাইটেক পার্ক, মানিকগঞ্জ হাইটেক পার্ক, জয়পুরহাট হাইটেক পার্ক, চাঁদপুর হাইটেক পার্ক এবং মাদারীপুর হাইটেক পার্ক।

সূত্র আরো জানায়, এসব পার্ক স্থাপন করা হলে দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। বিশ্বব্যাংক এক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মোহাম্মাদ আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বব্যাংকের কাছে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। আশা করি কোনো বিলম্ব ছাড়াই এখন কাজ শুরু করতে পারব।

তিনি বলেন, উল্লিখিত এলাকাগুলোর ভূমি ও পরিবেশগত পরিস্থিতি যাচাই করার পরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পার্ক নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও নতুন করে পাওয়া ১২ হাইটেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তরুণদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি খাতটি থেকে রফতানি আয় বাড়োনোর স্বপ্ন নিয়েই তৈরি হচ্ছে এই পার্কগুলো। সরকারের যে লক্ষ্য, ২০২১ সালের মধ্যে দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় সেটিকে ত্বরান্বিত করতে হাইটেক পার্ক অন্যতম অবদান রাখবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

দেশের এই ৩৩টি তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক হাইটেক চালু হলে দুই লাখের বেশি তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলে বিভিন্ন সময় জানিয়ে এসেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ।

গত বছর এপ্রিল মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ‘আইটি পার্ক/হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২ জেলায়)’ নামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পের আওতায় খুলনা, বরিশাল, রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নাটোর, গোপালগঞ্জ, ঢাকা ও সিলেটে আইটি পার্ক/হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে ২০২০ সালের মধ্যে। ১২ জেলায় ১২টি হাইটেক পার্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এক হাজার ৭৯৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যেখানে ভারতের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট থেকে এক হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা ও সরকারি তহবিল থেকে ২৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads