• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সাপের বিষের ডাটাবেজ চালু করলেন রাবি শিক্ষক

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

সাপের বিষের ডাটাবেজ চালু করলেন রাবি শিক্ষক

  • রাবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৯

দেশের অভ্যন্তরে পাওয়া সাপের দেশি ও আন্তর্জাতিক নাম, খাদ্যাভ্যাস, প্রকার-প্রকৃতি, জীবনবৃত্তান্তসহ দেশের প্রথম সাপের বিষের ডাটাবেজ তৈরি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষক। ২০১০ সাল থেকে তিনি এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। প্রায় ৯ বছর ধরে সাপের বিষের ওপর গবেষণা করে এই ডাটাবেজ তৈরি করেন তিনি। ওই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু রেজা।

অধ্যাপক ড. আবু রেজা জানান, বাংলাদেশে পাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির বিষাক্ত সাপের প্রত্যেকটির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এই ডাটাবেজে। আমরা বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে কী ধরনের বিষ এবং সেই বিষের গঠন আছে, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্যগুলো নিয়ে এখানে সংরক্ষণ করেছি। প্রকৃতি, প্রকার অনুসারেই সেগুলো সাজানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত এই ডাটাবেজ (www.snakebd.com) ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে।

ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে কালনাগিনী, গোখরা, কালো হলুদ ব্যান্ড লাঠি, মোহনার লাঠি, শঙ্খিনী। স্থান পেয়েছে ধামান, পাথরসহ প্রায় ৮৯টি সাপের বিষের বিস্তারিত তথ্য। কোন সাপের কামড়ে কী ধরনের ভেনোম ব্যবহার করা যাবে, কত ধরনের ভেনোম আছে, তার সবই আছে সেখানে।

ডাটাবেজ তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধ্যাপক ড. আবু রেজা বলেন, আমরা সাধারণত সাপের প্রোটিনের বিভিন্ন দিক খোঁজ করতে এনসিবিআইতে যাই। তার মধ্য থেকে একটি নির্দিষ্ট ভেনোম বের করা কঠিন। আমাদের ডাটাবেজে গিয়ে যদি কার্ডিওটক্সিন খুঁজে পেতে চাই সেটা খুব সহজ হবে। এখানে প্রায় তিন শতাধিক সাপের ভেনোমের প্রোটিন বিশ্লেষণ করে একটা কাঠামো দেখিয়েছি।

এই উদ্যোক্তা আরো বলেন, জীবতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার জন্য গবেষকদের সহজলভ্য ডাটাবেজ এটি- যা সাপ নিয়ে গবেষকদের গবেষণায় সহায়তা করবে বলে আমার বিশ্বাস। শুধু বাংলাদেশ নয়, বলতে গেলে পৃথিবীতে এই ধরনের ডাটাবেজ প্রথম তৈরি করেছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads