• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সরকারি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার নেওয়া হবে দেশি প্রতিষ্ঠান থেকে

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

সরকারি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার নেওয়া হবে দেশি প্রতিষ্ঠান থেকে

বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০১৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে দেশের ২৮টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে। এছাড়া তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলা করতে আমাদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল বসুন্ধরার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বেসিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী দিনের সমৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। ১০ বছর আগেও ঢাকার বাইরে ব্রডব্যান্ড কানেকশন ছিল না। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অপটিক্যাল ফাইবার ছিল না। এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক আছে। ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে প্রায় ১০ কোটি। ৯৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতাধীন।

‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ দেশের সকল ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান পলক। ইডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরে পলক বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও প্রায় ২৫ হাজারের অধিক ল্যাব তৈরীর কাজ চলছে। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে আরও ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরির জন্য প্রাইভেট খাতের সাথে একযোগে কাজ করছে সরকার।

দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহূত হবে তা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই নেওয়া হবে বলে জানিয়ে পলক বলেন, বিদেশিদের কাছ থেকে এসব সফটওয়্যার নেওয়া হবে না। এছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ দেশের তরুণ সমাজকে আইটিতে প্রস্তুত করতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফর ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এবারের আয়োজনে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে জাপান ডে, আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, গেমিং ফেস্ট এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন। এছাড়াও এক্সপোর তিন দিনে আইসিটি বিষয়ক ৩০টির বেশি সেমিনার আয়োজিত হবে যেখানে শতাধিক আইসিটি বিশেষজ্ঞ বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এদের মধ্যে কানাডা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইডেন থেকে বিদেশি আইটি এবং আইসিটি বিশেষজ্ঞরা প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন।

গতকাল শুরু হওয়া এই এক্সপো চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনামূল্যে এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে। প্রায় ২৫০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে সফটএক্সপোর ১৫তম আসর। এবারের আসরের স্লোগান- ‘টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads