• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: পলক

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: পলক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে নিজ সোসাইটির ট্রান্সফরমেশন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্ন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা। এই চারটি মূল লক্ষ্যকে ঘিরে বাংলাদেশকে দাঁড় করানো হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে পঞ্চম ই-গভর্ন্যান্স সম্মেলন ২০১৯-এর দ্বিতীয় দিনে মিনিস্ট্রিয়াল প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে দেওয়া বক্তৃতায় এসব তথ্য তুলে ধরেন। সেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

প্যানেল আলোচনায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে আইসিটি খাতে এক মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দশ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫ মিলিয়ন। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারত না। বর্তমান সরকার এর দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিচ্ছে। এর ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে।

ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি ছাড়া ডিজিটাল ইকোনমি সম্ভব নয় উল্লেখ করে পলক বলেন, সরকার শহর থেকে গ্রামে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে পাঁচ শতাধিক ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রতি মাসে ৬ মিলিয়ন মানুষ এই ডিজিটাল সেন্টার হতে দুই শতাধিক সেবা পাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দশ বছর আগে আইসিটি খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান সরকারের ব্যবসাবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক সুবিধা প্রদান, মেন্টরিং ও রিসার্চ ডেভেলপমেন্টের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসব হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সব ধরনের সহায়তা পাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার আগামী ৫ বছরে আইসিটি খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ, ৯০ ভাগ সেবা অনলাইনে প্রদান, দেশের শতভাগ জনগণকে কানেক্টিভিটির আওতায় আনা এবং আরো ১ মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে বলেও উল্লেখ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads