সাতক্ষীরায় চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরো ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া এ মামলায় ২২ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ডা. সাইফুল্লাহর মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, জিয়ারুল এবং মামুনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ডা. জুলফিকার, হাসান ও মামুনের চার বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড, জালাল, বিলাল, টুকু, রহিম গাজি ও পিন্টুকে তিন বছর করে এবং সালাম ও রব্বানীকে এক বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে গভীর নলকূপের পানি বিতরণকে কেন্দ্র করে আশাশুনির বাঁকড়া গ্রামের পানি বিতরণ কমিটির সভাপতি আলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ সরদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলিমুদ্দিন সরদার বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমান ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের উল্লিখিত সাজার আদেশ দেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।