কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে সরকারের করা আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়া হবে আগামী ১২ আগস্ট। সরকারের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন নির্ধারণ করেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে দায়ের করা মানহানির মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বির্তকিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গত ১৭ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর হয় নড়াইলের আদালতে।
গত সোমবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ কুমিল্লার নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
পরদিন জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে সরকার। সরকারের আবেদনে সাড়া না দিয়ে ওই দিনই চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ১২ আগস্ট আদেশের দিন নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, মওদুদ আহমদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন। সরকার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১ জুলাই এ মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য রাখেন কুমিল্লার আদালত। এরপর গত ২৩ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে বিচারিক আদালতে এই মামলায় খালেদা জিয়ার করা জামিনের আবেদন ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করে জামিন চান। খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি শেষে জামিন ছয় মাসের জামিন দেওয়া হয় গতকাল। এ ছাড়া এর আগে এই মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। আবেদনটির শুনানি চলছে।’
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে ৮ যাত্রী মারা যান। আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে পরদিন ৭৭ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।