• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শহিদুল আলমের জামিন

শহিদুল আলম

সংরক্ষিত ছবি

আইন-আদালত

মুক্তি পেতে বাধা নেই

শহিদুল আলমের জামিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ নভেম্বর ২০১৮

দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন। তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ জামিন দিয়েছেন আদালত। এ জামিনের মধ্য দিয়ে তিন মাস দশ দিন পর কারামুক্ত হতে যাচ্ছেন তিনি। সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন হাইকোর্টের জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। এর আগে জারি করা রুল গতকাল বৃহস্পতিবার নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান।

আদেশের পর আইনজীবী সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার যে অভিযোগ, তার সঙ্গে পুলিশের দাখিল করা প্রমাণের মিল নেই। হাইকোর্ট সন্তুষ্ট হয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন দিয়েছেন। ফলে শহিদুল আলমের মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না।’

তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট বলেছেন যেহেতু ওনাকে অনেকদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়ার পরও কোথাও তিনি স্বীকার করেননি যে উসকানিমূলক কিছু বলেছেন। তাই জামিন দেওয়া হলো। তিনি এই উপমহাদেশে এমনকি সারা বিশ্বের একজন নামকরা আলোকচিত্রী, এই বিষয়টাও আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন।’

শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। বাংলাদেশের বিচারালয়ের ওপর আস্থা ফিরে পেয়েছি। এটা (জামিন) হওয়ারই কথা ছিল।’

গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এ জামিন আবেদন দাখিল করেন। এরপর জামিন আবেদনটি হাইকোর্টের এ বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে গতকাল বুধবার শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু শহিদুল আলম অসুস্থ থাকায় এক দিন সময় চাওয়া হয়। আদালত গতকাল বেলা ২টায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন। শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে জামিন দেন আদালত।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় স্কাইপের মাধ্যমে সরাসরি সাক্ষাৎকার দেন শহিদুল আলম। ওই দিন রাতেই তাকে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন রমনা থানায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads