• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ

অরিত্রী অধিকারী

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনার কারণ নির্ণয়ে কমিটি গঠনে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালত বিষয়টির ওপর এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনে আদেশ দিয়েছে। এছাড়াও এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের উপায় নির্ণয় করে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন বিষয়েও এ কমিটি কাজ করবে।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনার বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আজ এ আদেশ দেয়।

আদেশে কমিটিতে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিবের নিচে নয় এমন একজন প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, মনোবিদ ও আইনবিদকে রাখতে বলা হয়েছে।

নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সকালে আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনুন্নাহার সিদ্দিকা, জেসমিন সুলতানা।

আদেশের পর ব্যারিস্টার অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে অতিরিক্তি শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে আদালত। এক মাসের মধ্যে এই কমিটিকে দু’টি প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। একটি হচ্ছে, জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে তারা একটি প্রতিবেদন দেবে। আরেকটি হচ্ছে, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল ৩ ডিসেম্বর স্কুল থেকে ছাড়পত্র (টিসি) দেওয়ায় এবং নিজের সামনে বাবা-মাকে অপমান করায় ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রধান শাখার অরিত্রী অধিকারী নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। অরিত্রী প্রভাতী শাখার ইংলিশ ভার্সনের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শান্তিনগরের নিজেদের বাসা থেকে অরিত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

অরিত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার পরীক্ষার হলে অরিত্রি মোবাইল ফোন নিয়ে গিয়েছিল। নকল থাকার অভিযোগে শিক্ষক তার মোবাইল জব্দ করেন এবং অভিভাবককে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যেতে বলেন। গতকাল সোমবার পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রির সঙ্গে তারা (বাবা-মা) স্কুলে যান। ভাইস-প্রিন্সিপাল তাদের বলেন, মোবাইলে অরিত্রির নকল করছিল। অভিযোগ শুনে মেয়ের হয়ে তার কাছে ক্ষমা চান তারা। কিন্তু  এতে মন গলেনি ভাইস প্রিন্সিপালের। তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় প্রিন্সিপালের কাছে। সেখানে গিয়েও তারা ক্ষমা চান। একপর্যায়ে অরিত্রি প্রিন্সিপালের পায়ে ধরে ক্ষমা চায়। কিন্তু প্রিন্সিপাল এতে কর্ণপাত না করে তাদের রীতিমত অপমান করে কক্ষ থেকে বের করে দেন এবং পরের দিন অরিত্রির টিসি নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। অরিত্রির মা-বাবার অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করায় অরিত্রি তাদের আগেই দ্রুত বাসায় চলে যায়। এরপর বাবা-মা গিয়ে দেখেন অরিত্রি নিজ রুমে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads