• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
 জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে মিন্নির আবেদন

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে মিন্নির আবেদন

  • বরগুনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আদালতে দেওয়া তার ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করেছেন। আজ বুধবার সকালে আদালতে মিন্নির উপস্থিতিতে তার আইনজীবী এই আবেদন করেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আয়শা ও এই মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালতে আনা হয়। প্রথমে ১৩ আসামি এবং পরে মিন্নিকে আদালতে আনা হয়।

এ মামলায় গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন- রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামী মুসা, ৭ নম্বর আসামী মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, ৮ নম্বর আসামী রায়হান ও ১০ নম্বর আাসামী রিফাত হাওলাদারকে এখনো অধরা রয়েছে।

আয়শার আইনজীবী বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আয়শা তার জবানবন্দি প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। মূল নথি নিম্ন আদালতে না আসায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী আয়শার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন শুনানির জন্য আগামী ১৪ আগস্ট পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আয়শার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। ২৩ জুলাই আয়শার পক্ষে ওই জামিন আবেদন করা হয়েছিল।

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই সকাল পৌনে দশটার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরের দিন বিকেল সোয়া তিনটার দিকে কারাগার থেকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা পরেই ১৯ জুলাই বেলা ২ টার দিকে মিন্নিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৭ টার দিকে মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫/৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads