গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুসহ অন্যদের বাঁচাতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে গণপিটুনির বিষয়ে গৃহিত পদক্ষেপ ও এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলেছেন আদালত।
আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনস্বার্থে রিট আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘ছেলেধরা গুজবে’ তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার নির্মম ঘটনা ঘটে। গুজব রটিয়ে হত্যা বিষয়ে জনস্বার্থে ২৮ জুলাই রিট আবেদন করেন ইশরাত হাসান।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব,পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার ও বাড্ডা থানার ওসিকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।
ছেলের স্কুলের খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে গত ওইদিন একদল উন্মত্ত জনতার হাতে নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে নিহত হন রেনু।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। এ মামলায় কয়েকজনকে আটক করা হয় এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
