• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঘাতক প্রেমিক পলাশের ফাঁসি ও বিপ্লবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

কলেজ ছাত্রী ফারিয়া ইসলাম মালা, মাঝে ফাঁসির রায় প্রাপ্ত আসামী আলমগীর হোসেন ও বামে সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাঈনুল আহসান বিপ্লব

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

আইন-আদালত

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে জবাই

ঘাতক প্রেমিকের ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন

  • আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জানুয়ারি ২০২০

বরগুনার আমতলীতে ফারিয়া ইসলাম মালা নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে জবাই করে হত্যার পর সাত টুকরা করার দায়ে প্রেমিক আলমগীর হোসেন পলাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালত। একই সাথে অপর আসামী ভাগ্নী জামাই আইজীবি মঈনুল আহসান বিপ্লবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তার সহকারী (মহরার) রিয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে মামলার অপর আসামী আইজীবি মঈনুল আহসান বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানকে। 

আজ রবিবার দুপুরে (২৬ জানুয়ারি) বরগুনার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

এছাড়া একই আদেশে বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান মৃতদেহ লুকানো চেষ্টার অপরাধে আসামি প্রেমিক পলাশ আইজীব বিপ্লবকে সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন আইনজীবী বিপ্লবের বাসায় কলেজ ছাত্রী মালাকে প্রেমিক মামাতো ভগ্নিপতি পটুয়াখালী সুবিদখালী উপজেলার ভয়াং এলাকার লতিফ খানের পুত্র আলমগীর হোসেন পলাশ ও পলাশের ভাগ্নি জামাই বরগুনার আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা আইনজীবী মইনুল আহসান বিপ্লব তার সহযোগী মহরার রিয়াজ জবাই করে হত্যা করে। পরে আসামীরা মৃতদেহ লুকানোর জন্য মৃতদেহটিকে সাত টুকরো করে পানিতে ধুয়ে দেহ থেকে রক্ত দূর করে দু’টি ড্রামে ভরে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ আইনজীবী মাঈনুল আহসান বিপ্লবের বাসায় অভিযান চালিয়ে নিহত কলেজ ছাত্রী মালার ড্রাম ভর্তি সাত টুকরা মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রেমিক পলাশকে পুলিশ তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে আইনজীবি মাইনুল আহসান বিপ্লব, প্রেমিক পলাশ ও অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করে আমতলী থানা পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু আদালতের পিপি এ্যাড. মোঃ মোস্তাাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, "মালা হত্যা মামলায় আসামি প্রেমিক পলাশকে ধর্ষণ, হত্যা ও মৃতদেহ লুকানোর দায়ে ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। আইনজীবী মঈনুল আহসান বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মৃতদেহ লুকানোর দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। অপর আসামী আইনজীবী মঈনুল আহসান বিপ্লবের সহকারি (মহরার) রিয়াজের বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকানোর দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে এ মামলার আসামি আইনজীবী মঈনুল আহসান বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়া তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। 

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা এ আদালতে ন্যায় বিচার পাইনি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। 

চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী মালা হত্যার রায়ে আমতলীর সাধারণ জনগন আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads