• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আবু রোকাইয়া

সংগৃহীত ছবি

বিবিধ

অমুসলিমদের সঙ্গে বিয়ে

  • আবু রোকাইয়া
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৯

আমাদের সমাজে অনেক মুসলমানই আছেন যারা ভিন্ন ধর্মের নারীদের বিয়ে করতে চান। বিশেষ করে অনেককে খ্রিস্টান নারীদের বিয়ে করতে দেখা যায়। কোনো মুসলমান চাইলেই কি অন্য ধর্মের নারীকে বিয়ে করতে পারবেন? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান কী? মুসলিম হয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীকে বিয়ে করা প্রসঙ্গে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদের মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দিও না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদের মুগ্ধ করে। তারা তোমাদের আগুনের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ তাঁর অনুমতিতে তোমাদের জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন এবং মানুষের জন্য তাঁর আয়াতগুলো স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে’ (সুরা আল-বাকারা : ২২১)।

বিয়ের ক্ষেত্রে অমুসলিরা দুই ভাগে বিভক্ত। আহলে কিতাব এবং যারা আহলে কিতাব নয়। আসমানি কিতাবের অনুসারীরা ‘আহলে কিতাব’ হিসেবে গণ্য। যেমন ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান। পবিত্র কোরআনে এই দুই সম্প্রদায়কে ‘আহলে কিতাব’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ মুসলিম পুরুষদের শুধু আহলে কিতাব নারী বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘এবং তোমাদের আগে যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো’ (সুরা মায়িদা : ৫)।

কোনো মুসলিম নারীর কোনো ‘আহলে কিতাব’ পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সম্পূর্ণ হারাম। মুসলমানদের জন্য আহলে কিতাব নারী বিয়ে করা বৈধ হলেও স্থান-কাল-পাত্রভেদে তা অপছন্দনীয় বলে ফকিহরা মতপ্রকাশ করেছেন। যারা আহলে কিতাব নয় তারা মুশরিক এবং কাফির, তা যে ধর্মেরই অনুসারী হোক। এই পর্যায়ে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, নাস্তিক, অগ্নিউপাসক সবাই এক পর্যায়ভুক্ত। মুশরিক নারীরা ঈমান না আনা পর্যন্ত তাদেরকে বিয়ে করা মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ। নিশ্চয়ই মুমিন ক্রীতদাসী তার চেয়ে উত্তম। আবার মুশরিক পুরুষরা ঈমান না আনা পর্যন্ত তাদের সাথে মুসলমান নারীর বিয়েকে বৈধতা দেয় না ইসলাম।

 

লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads