হজযাত্রার নবম দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তিনটি ফ্লাইটের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ শতাধিক হজযাত্রী। এদিকে, অনিয়মের অভিযোগে চার হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
গত ১৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হয়। কিন্তু গত শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে ফ্লাইট বিপর্যয়। ওইদিন রাত পৌনে ৯টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল বিমানের ০০৩৫ ফ্লাইটটির। তবে সেটি ঢাকা ছাড়ে নির্ধারিত সময়ের ১২ ঘণ্টা পর, অর্থাৎ গতকাল রোববার সকাল সোয়া ৮টায়। আর গতকাল বিমানের সকাল সাড়ে ১০টার হজ ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে বিকাল সাড়ে ৩টায়। এ ছাড়া বিকাল সাড়ে ৪টার ফ্লাইটটি রাত ১টায় হযরত শাহজালাল ছাড়ার কথা রয়েছে। একের পর এক ফ্লাইট বিপর্যয়ের কারণে হজযাত্রীদের প্রায় ৫ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকেই নির্ধারিত ফ্লাইটের আগেই আশকোনা হজক্যাম্পে হাজির হচ্ছেন হজযাত্রীরা। ফ্লাইটে ওঠার আগে নিজেদের কাগজপত্রও শেষবারের মতো গুছিয়ে নিচ্ছেন তারা।
আশকোনা হজক্যাম্পে যাত্রার অপেক্ষায় থাকা মুসল্লিরা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানটি যথাসময়ে না পৌঁছায় সেটি ছাড়ার সময় পিছিয়ে বিকাল ৩টায় ঢাকা ত্যাগ করে।
মুসল্লিদের অভিযোগ, আগাম কোনো তথ্য না দেওয়ায় ৮ শতাধিক হজযাত্রীর ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এবারের হজে ৪টি বোয়িং দিয়ে ১৫৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। সপ্তাহিক ছুটি ছাড়াই এই উড়োজাহাজ ৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিরতিহীনভাবে। আর এতেই দেখা দিচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি, ঠিক রাখা যাচ্ছে না সময়সূচি। তবে এ বিষয়টিকে বড় করে দেখছে না হজ অফিস।
ঢাকা হজ অফিস পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইট দেরি হলেও যাত্রায় কোনো ধরনের বাধা হয়নি। রোববার সরকারি ও বেসরকারি মোট ১১টি বিমান জেদ্দার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। এ বছর ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হজযাত্রা চলবে।
এদিকে, অনিয়মের অভিযোগে চার হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সহকারী সচিব (হজ) এসএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত নোটিশে ৪টি এজেন্সি কেন বাংলাদেশ ও সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ যথাযথ প্রতিপালন না করে সম্মানিত হাজীদের সৌদি আরবে পাঠিয়েছে সে বিষয়ে তাদের আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এজেন্সিগুলো হলো মেসার্স আকবর ওভারসিজ (লাইসেন্স নং ৬১৬), আল সেকান্দর ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং ১৪৬৬), ক্যাস্ক্যাড ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং ৭১৩) এবং মোবাশ্বের ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস (লাইসেন্স নং ১০৫৫)।