• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
‘মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয়’

আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়

‘মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয়’

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ জুলাই ২০১৮

কুষ্টিয়ায় মানহানির মামলায় জামিন নিতে এসে আদালত চত্বরে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত নয় বলে দাবি করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীর এক রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার।

লিখিত বক্তব্যে ইয়াসির আরাফাত তুষার বলেন, ‘আমি মামলার বাদী। ঘটনার দিন রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত আমরা আদালত চত্বরে অবস্থান করি। শুনেছি, আমরা আদালত চত্বর থেকে চলে আসার পর মাহমুদুর রহমান যে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া এসেছিলেন, সেই দামি গাড়ি বাদ দিয়ে একটি পুরাতন কম দামি গাড়িতে চড়ে আদালত থেকে বের হন। এ সময় বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে ও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে তাদের ক্যাডাররা মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা করে। তার ভাড়া করা পুরাতন প্রাইভেটকারটি ভাঙচুর করে। এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বলেছি, আপনারা খুঁজে বের করেন কে দোষী। আমরা তো এই ন্যক্কারজনক ঘটনা চাই না। আমরা চাই সুষ্ঠু বিচার হোক। কারা হামলা করেছে, দোষী বের হয়ে আসুক। দোষী বের হয়ে এলে বোঝা যাবে, কারা এর সঙ্গে জড়িত।’

সংবাদ সস্মেলনে  জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহাম্মেদ দাবি করে বলেন, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মাহমুদুর রহমানকে আদালত চত্বর থেকে বের করে নিয়ে যান। তার পর দুর্বৃত্তরা মুখে গামছা বেঁধে হামলা চালায়।

 তিনি বলেন, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক। ছাত্রলীগ কখনো মুখে গামছা বেঁধে হামলা করে না। এটা বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের।

গত রোববার বিকেলে মানহানির মামলায় জামিন নিতে কুষ্টিয়ায় গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান। আদালত চত্বরে তাঁর ওপর তিন দফায় এ হামলা হয়। ইট, পাথর ও লাঠির আঘাতে তাঁর গাল, কপাল ও মাথার পেছনে কেটে যায়। পরে যশোর থেকে উড়োজাহাজে করে ঢাকায় এনে তাঁকে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাহমুদুর রহমানের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে তার ওপর এ হামলা চালিয়েছেন। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা নীরব ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads