কোরবানির চামড়া পাচার ঠেকাতে দেশের সকল সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলোতে সতর্কতা জারি করে দিনরাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
সীমান্তের চামড়া পাচার ঠেকাতে ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে টহল জোরদার করা হয়েছে ও বিভিন্ন স্থানে স্পট নির্ধারণ করে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান (বিজিবি) সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সহিদুর রহমান বলেন, প্রতিটি বিওপিতে ৬ জন বিজিবি সদস্য দিনরাত মোতায়েন রয়েছে। তাছাড়াও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে কোনভাবে ভারতে চামড়া পাচার হতে না পারে। চামড়া পাচার রোধে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
এদিকে, রাত দশটার পর বাংলাদেশী নাগরিকদের জিরো লাইনে না কঠোরভাবে যেতে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। চামড়া চোরাকারবারীদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
তাছাড়া সীমান্ত অভিমুখে চামড়া বোঝাই ট্রাক ঠেকাতে সড়কগুলোতে বসানো হয়েছে বিজিবির চেকপোস্ট। চামড়া পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো হচ্ছে বেনাপোল, শার্শা, চৌগাছা, সাতক্ষীরা ও কলারোয়া।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর অধিক মুনাফার আশায় কিছু অসাধু চামড়া ব্যবসায়ীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার করে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চামড়া পাচার করতে না পারলে তারা সিন্ডিকেট করে খুচরা ব্যবসায়ীদের ঠকিয়ে থাকে। তবে এবছর ঈদের আগে থেকেই এব্যপারে সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।