• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মামলার রায়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মামলার রায়

ছবি : ইন্টারনেট

জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মামলার রায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৮

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের খবর প্রকাশ করেছে। গতকাল বুধবারের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরো ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের রিপোর্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতেই তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে। ‘২০০৪ সালে সমাবেশে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড’ এই শিরোনামে গণমাধ্যমটি রিপোর্ট প্রকাশ করে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ছিল, ‘২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার রায়ে বিরোধী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত।’ রিপোর্টে রায় নিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজলের অসন্তোষ এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

কাতারভিত্তিক মিডিয়া আলজাজিরার মূল সংবাদে জায়গা করে নেয় ‘২০০৪ সালের আক্রমণকে কেন্দ্র করে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন বাংলাদেশের আদালত’ শিরোনামটি।

তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে অ্যাসোসিয়েট প্রেস কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে রায়ের সংবাদটি তুলে ধরে। ‘রাজনৈতিক সমাবেশে হামলার ঘটনায় বাংলাদেশে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড’ এমন শিরোনাম দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুজ্জামান বাবরের প্রতিক্রিয়াও তুলে ধরে। প্রতিক্রিয়ায় বাবর সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আল্লাহ সবকিছু জানেন। আমি এর সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।’ এছাড়া এপির রিপোর্টে আদালতে রায় ঘোষণাকালীন দুইবার বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাওয়ায় বিচারককে বাধা পেতে হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ভারতীয় মিডিয়া এনডিটিভির রিপোর্টের শিরোনাম ছিল, ‘২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’ রিপোর্টে তারেক রহমানকে খালেদা জিয়ার পলাতক সন্তান হিসেবে উল্লেখ করা হয়। রায় উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের বিষয়টিও জায়গা পায় রিপোর্টে।

ভারতীয় অপর মিডিয়া আনন্দবাজারের রিপোর্টের শিরোনাম ছিল- ‘হাসিনার ওপর হামলা : মৃত্যুদণ্ড ১৯, খালেদাপুত্রসহ যাবজ্জীবন ১৭ জনের।’ মিডিয়াটি গতকালের রায়ের চেয়েও ওই হামলার তদন্তে শুরু থেকে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালানোর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন করে তদন্ত শুরু করলে অনেক অজানা তথ্য বের হয়ে আসে বলেও রিপোর্টে বলা হয়।

পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের রিপোর্টেও বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতার মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি শিরোনামে জায়গা পায়। হামলার চার বছর পর ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গ্রেনেড হামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন এমনটিও বলা হয় রিপোর্টে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads