• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
এবার ই-পুলিশিং চালুর উদ্যোগ

লোগো ই-পুলিশি

জাতীয়

তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা বাড়াতে

এবার ই-পুলিশিং চালুর উদ্যোগ

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০১৮

আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুলিশের সঙ্গে তাল মেলাতে বাংলাদেশ পুলিশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরো দক্ষ ও উন্নত করার লক্ষ্যে ই-পুলিশিং সিস্টেম চালু করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ১৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ই-সেবা সংক্রান্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে হোস্টিং করা সম্ভব হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বহু আগেই ই-পুলিশ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ফলে ওইসব দেশের পুলিশ বাহিনী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সেটা মাথায় রেখেই বাংলাদেশ পুলিশকেও আরো তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকেই পুরো প্রকল্পের জোগান দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে সাইবার অপরাধীদের চিহ্নিত ও তাদের আইনের আওতায় আনা সহজতর হওয়ার পাশাপাশি পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একধাপ এগিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (কনফিডেন্সিয়াল ও স্পেশাল ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বদলে যাচ্ছে। পুলিশকে প্রতিনিয়ত বদলে ফেলার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। সাইবার অপরাধ বাড়ছে— সেটা মাথায় রেখেই সরকার সাইবার সেন্টার নামে একটি ইউনিট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। সাইবার সেন্টারের লোকবল, পরিধি ইতোমধ্যে অনুমোদন লাভ করে প্রজ্ঞাপনের অপেক্ষায় আছে। একই সঙ্গে একনেকে অনুমোদন লাভ করা ১৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ই-পুলিশিং সিস্টেম প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পুলিশ বাহিনীও উন্নত বিশ্বের মতো যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের বিদ্যমান অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে হোস্ট করার বর্তমান তথ্যকেন্দ্র একটি ‘স্টেট-অব-দি-আর্ট’ ডাটা সেন্টারে উন্নীত করা যাবে। এতে ডাটা স্টোরেজ ঝুঁকিমুক্তভাবে অধিকতর দক্ষতা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের সরঞ্জামাদি বসানো হবে পুলিশ সদর দফতরে এবং ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। সরঞ্জামাদি বসানোর লক্ষ্যে পুলিশ সদর দফতর ইতোমধ্যে স্থান নির্ধারণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ‘বাংলাদেশ পুলিশের ডাটা সেন্টারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এ প্রকল্পে ১১টি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা হবে।

সূত্র জানায়, অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, জরুরি জাতীয় সেবা ৯৯৯-সহ বিভিন্ন ই-পুলিশ সুবিধা ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। সাইবার অপরাধ রোধেও পুলিশ সাইবার টহলসহ নানা কাজ করছে। এ প্রকল্পের সুবিধা হচ্ছে- সব অ্যাপ্লিকেশন ঝুঁকিমুক্ত রাখা, সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ই-পুলিশিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা রোধ করা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads