• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অরিত্রীর আত্মহত্যায় ক্ষমা চাইলেন গভর্নিং বডির সভাপতি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

অরিত্রীর আত্মহত্যায় ক্ষমা চাইলেন গভর্নিং বডির সভাপতি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্কুলের সামনে সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়া অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন গোলাম আশরাফ তালুকদার।

এসময় তিনি বলেন, আমাদের একজন শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যুতে আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি, ক্ষমা চাচ্ছি। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানান।

ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গভর্নিং বডির সব সদস্যের পদত্যাগ ও অরিত্রীর বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে তারা শুক্রবার থেকে পরীক্ষায় বসবে। অন্যথায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেইলি রোডে স্কুলের মূল শাখার ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে একদল শিক্ষার্থী। তাদের সঙ্গে কিছু অভিভাবকও যোগ দিয়েছেন।

এর মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে স্কুল ফটকের ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গোলাম আশরাফ তালুকদার।

আশরাফ তালুকদার বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। শিক্ষার্থীদের দেয়া ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে আমরা সকল পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৩ জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আশরাফ তালুকদারের অভিযোগ, তারা প্রতিষ্ঠানটির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও বিভিন্ন মহলের উসকানিতে কিছু শিক্ষার্থী এখনও আন্দোলন ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ৬টি দাবির মধ্যে অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের গভর্নিং বডির সদস্যসচিব স্কুলের অধ্যক্ষ মামলার আসামি থাকায় আমরা তাকে পাচ্ছি না। তার এই পদে অন্য একজনকে দায়িত্ব দিয়ে কমিটির মিটিং আহ্বান করবো। সেখানে বাকি সিদ্ধান্ত হবে।

উল্লেখ্য, গেল রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান। মোবাইলে নকল করেছে, এমন অভিযোগে অরিত্রীকে সোমবার তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। সোমবার তারা স্কুলে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে এবং মেয়ের টিসি (ছাড়পত্র) নিয়ে যেতে বলেন। পরে এ অপমানে বাসায় গিয়ে অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads