দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভারত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল সোমবার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি সহজে সমাধান হবে না। এর জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু জিইয়ে থাকলে ভারত-চীনসহ সবার স্বার্থ ব্যাহত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পশ্চিমা দুনিয়া সরকারের সঙ্গে আছে। তারা সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারত বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী তাই ভারতে আমি সম্ভবত প্রথম সফরে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের যে কর্মকাণ্ড সেটা মোটেই সন্তোষজনক নয়। তাদের এ বিষয়ে আরো বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চায় বাংলাদেশ। বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো সম্পৃক্ততা আশা করছি আমরা। চীন-রাশিয়ার অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারাও আমাদের সঙ্গে রয়েছে। রাজনীতিতে ভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন আসে। সেটা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই।
প্রথমেই অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেবেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়াতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো শক্তিশালী করতে এবার অর্থনৈতিক কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোর দেওয়া হবে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক উন্নয়নেও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নে সামনের দিনে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সরকারের ভিশন টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সবার কাছে সহযোগিতা চাই। ২০২১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে যা যা প্রয়োজন উদ্যোগ নেব।
ড. মোমেন বলেন, মহাজোট সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাই মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে এবং জীবন সহজ করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেওয়া হবে।
