• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শাহ আলমগীরের দাফন হবে উত্তরায়

শাহ আলমগীর

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

শাহ আলমগীরের দাফন হবে উত্তরায়

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

সিনিয়র সাংবাদিক ও পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীরকে দাফন করা হবে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে।

পরিবার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে বাদ যোহর পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ ২.৩০ মিনিটে তার সদ্য সাবেক কর্মস্থল পিআইবি কার্যালয়ে নেয়া হবে। পিআইবিতে জানাজা শেষে শ্রদ্ধা ও জানাজার জন্য ৩.৩০ মিনিটে নেয়া হবে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে। এরপরে নিজ বাসস্থান উত্তরা হয়ে বাদ আসর উত্তরা ১১ নং সেক্টরে বায়তুল নূর জামে মসজিদে শেষ নামাজে জানাজা শেষে ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া ও ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলমগীর। রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে আইসিইউতে স্থানান্তর ও পরে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে।

শাহ আলমগীর ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা শুরু করেন। ৩৫ বছরের দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি একাধিক ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। পিআইবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি সর্বশেষ এশিয়ান টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগদানের মাধ্যমে । তাছাড়াও তিনি দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ ও প্রথম আলোতে কাজ করেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন। চ্যানেল আই-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’র পরিচালনা বোর্ডেরও সদস্য তিনি।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘ চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভোকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads