• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বাসচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০১৯

বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

বুধবার সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি শুরু কথা থাকলেও সেসময় তাদের উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নর্দ্দায় বসুন্ধরা গেইটে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।

বিইউপির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি), সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে।

‘জাস্টিস ফর আবরার’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আর কত রক্ত ঝরতে হবে রাস্তায়’- এরকম নানা স্লোগানে সড়কে নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ফলে প্রগতি সরণি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ কালাচাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড এবং কুড়িলে যানবাহন ডাইভারশনের ব্যবস্থা করেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীদের একজন মাইশা নুর বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বুধবার ক্লাস বর্জন এবং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করার আহ্বান জানাই।

মাইশা নুর আরো বলেন, তাদের আন্দোলন গত বছরের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ধারাবাহিক রূপ এবং দাবি না মানা পর্যন্ত তা চলবে।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোডে রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে আবরার মারা যান। সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদে দিনভর বিক্ষোভের পর সন্ধ্যায় সড়ক থেকে সরে যান বিইউপির শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ৮টা থেকে আবার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেয়া আটদফা দাবি- ১. পরিবহন সেক্টরকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে হবে এবং প্রতিমাসে বাসচালকের লাইসেন্সসহ সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করতে হবে। ২. আটক হওয়া চালক ও সম্পৃক্ত সকলকে দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৩. আজ থেকেই ফিটনেসবিহীন বাস ও লাইসেন্সবিহীন চালককে দ্রুততম সময়ে অপসারণ করতে হবে। ৪. ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সকল স্থানে আন্ডার পাস, স্পিড ব্রেকার ও ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। ৫. চলমান আইনের পরিবর্তন করে সড়কে হত্যার সঙ্গে জড়িত সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ৬. দায়িত্ব অবহেলাকারী প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭. প্রতিযোগিতামূলক গাড়ি চলাচল বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে বাসস্টপ এবং যাত্রী ছাউনী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এবং ৮. ছাত্রদের হাফপাস অথবা আলাদা বাস সার্ভিস চালু করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads