• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘আম্মু বলেছে, ড্রাইভ স্লো’

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘আম্মু বলেছে, ড্রাইভ স্লো’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০১৯

মা আবদার পূরণ করেছে, তাই মায়ের শর্ত অবশ্যই রাখতে হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। তা ছাড়া দেশে প্রতিদিন যে হারে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে, তা রীতিমতো শঙ্কিত হওয়ার মতোই। প্রতিদিন অনেক মায়ের কোল খালি হচ্ছে। স্বজন হারানোর ব্যথায় ভারী হচ্ছে স্বজনদের বুক। দেশে প্রতিদিনের চলমান দুর্ঘটনা রোধে সড়কে চলা সন্তানরা মায়েদের নির্দেশ মেনে চললে হয়তো মৃত্যুর মিছিলে লাশের সংখ্যা কমে আসবে কিছুটা।

অনলাইন পোর্টাল ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক কাজী রফিকের তৈরি ও প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সচেতনতা বৃদ্ধির স্বার্থে ‘বাংলাদেশের খবর’র পাঠকদের জন্য আমরা পুনঃপ্রকাশ করলাম।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বাবলু। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রের বাড়তি আগ্রহ মোটরসাইকেলের প্রতি। কয়েক বছর ধরে বাসায় বলার পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার মা মোটরসাইকেল কিনে দিতে রাজি হন। তবে তা শর্তসাপেক্ষে।

মায়ের শর্ত, মোটরসাইকেল বেশি গতিতে চালানো যাবে না। মায়ের আদরের ছেলেটি এ শর্ত মেনে নেয়। শর্ত অনুযায়ী মোটরসাইকেল কিনে দেন মা। মোটরসাইকেল পাওয়ার পরে আম্মুর কথা যাতে ভুলে না যায়, তাই অভিনব এক কৌশল ব্যবহার করেছে এই তরুণ। মোটরসাইকেলের সামনে লিখেছেন ‘আম্মু বলেছে, ড্রাইভ স্লো’। আলাপকালে নাজমুল জানান, মায়ের শর্ত যাতে তিনি ভুলে না যান তাই মোটরসাইকেলের সামনে কথাটি লিখে রেখেছেন। বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। আমার আব্বুও কিছুদিন আগে অ্যাকসিডেন্ট করেছেন। মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা আরো ভয়াবহ হয়। তাই আম্মুর কথাটা মানতে চাই। যেন কথাটা ভুলে না যাই, তাই গাড়ির সামনে লিখে রেখেছি।’

নাজমুল মনে করেন, তার মায়ের মতো সব মা-ই তার সন্তানদের একই কথা বলেন। কিন্তু রাস্তায় বের হওয়ার পর সন্তানরা কথাটি ভুলে যায়। নিজে মায়ের কথা পালনের পাশাপাশি তার এই লেখাটি অনেক ছেলের দৃষ্টি কাড়বে এবং তারাও দ্রুত ছুটে চলার অহেতুক প্রবণতা থেকে সরে আসবে বলে আশা করেন নাজমুল ইসলাম। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে মোটরসাইকেল কিনেছেন নাজমুল ইসলাম। এখন পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে তিনি মোটরসাইকেল চালাননি। তিনি জানান, গতি বাড়াতে গেলে মায়ের কথা মনে পড়ে।

এদিকে স্বল্প দূরত্বে চলাচলের মোটরসাইকেলকে অনেকেই ব্যবহার করছেন দূরপাল্লার যান হিসেবে। মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে চলতে গিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। আবার ঢাকা মহানগরে দ্রুত ছুটে চলার প্রবণতা ছোট-বড় দুর্ঘটনার জন্ম দিচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৪৭৫টি। ২০১৮ সালে সড়কে মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৭০ শতাংশ ঘটেছে বাস ও মোটরসাইকেলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads