• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
অস্ত্রোপচারেও শঙ্কামুক্ত নয় অগ্নিদগ্ধ নুসরাত

আগুনে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়

অস্ত্রোপচারেও শঙ্কামুক্ত নয় অগ্নিদগ্ধ নুসরাত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৯

পরীক্ষাকেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। লাইফসাপোর্টে রেখে মঙ্গলবার দুই ঘন্টাব্যাপী এই অস্ত্রোপচার করা হয়।এই অস্ত্রোপচারে তার শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হলে শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন মাদ্রাসাছাত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলেন, ওর অবস্থা আগের মতোই আছে। সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়। আজকে আমরা আবার সিঙ্গাপুর তার চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলব।

বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়াল সুমি জানান, অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে পুড়ে ভেতরের দিকে ঢুকে গেছে। তার শিরা-উপশিরায় রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফুসফুস ও কিডনি কাজ করতে পারছে না। আমরা দেবে যাওয়া স্থানগুলো কেটে দিয়েছি। ফুসফুস একেবারেই ওঠানামা করতে পারছে না।

অগ্নিদগ্ধ শিক্ষার্থীর ফুসফুস সক্রিয় করতে অস্ত্রোপচারের পর মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমসিএইচ এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন ও ডিএমসিএইচের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আবুল কালাম।

একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সোমবার তাকে লাইফসাপোর্টে নেয়া হয়। লাইফসাপোর্টে রেখেই তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। সকালে আমাদের চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক আপডেট তাদের জানানো হচ্ছে। মেয়েটির শরীরের ৭০ শতাংশ ‘ডিপ বার্ন’। তার একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। এখন তার অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করছি।’

পরিচালক আরো বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রত্যাশা করি রোগী ফিরে আসবে। এ ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রত্যাশা করছি। এই রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতা থাকলেও সৃষ্টিকর্তা সহায় থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব।’ অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর সুস্থতায় তিনি দেশবাসীকে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দেয়। এদিকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাছাড়াও ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়।

অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে শিশু বলাৎকার, নাশকতা, যৌন হয়রানি ও চেক জালিয়াতিসহ ফেনী এবং সোনাগাজী মডেল থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads