• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশনে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

‘বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়’            

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০১৯

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয়ভাবে সহজে, কম খরচে, দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিস্পত্তি করতে গ্রাম আালতের ভূমিকা প্রশংসনীয়। দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা জনগণের সংখ্যার তুলনায় অপর্যাপ্ত। এ শূন্যতা পূরণে গ্রামে ছোটখাট বিরোধগুলো মিটিয়ে ফেলতে গ্রাম আদালত কার্যকরী ভূমিকা রাখছে।

রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশনে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ-এর টিম লিডার অড্রে মেলট।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. কাজী আনোয়ারুল হক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প সমন্বয়ক সরদার এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ। কর্মশালায় ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি, ইউএনডিপির প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রকল্পভুক্ত জেলার সংশ্লিষ্ট উপপরিচালকরা, সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা সমন্বয়কারী, প্রকল্প অফিসের কর্মকর্তা, সহযোগী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেজন্য গত নির্বাচনের আগেই বর্তমান সরকার তাদের ইশতেহারে শহরের বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১১২ টি সেবা প্রদানের কথা থাকলেও সকল ইউনিয়ন পরিষদ যথাযথভাবে তা প্রদান করতে সক্ষম নয়। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নে অন্তত বিশ হাজার লোক বাস করে। তাদেরকে যথায সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করতে পারলে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও বাড়বে। ফলশ্রুতিতে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হবে।

উল্লেখ্য, প্রকল্প এলাকার অন্তর্ভূক্ত ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার এক হাজার ৮০টি ইউনিয়নে প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাম আদালত কার্যকরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads