• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
টিআইবির গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে সন্দিহান বিজিএমইএ

লোগো বিজিএমইএ

জাতীয়

টিআইবির গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে সন্দিহান বিজিএমইএ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৯

তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি ২৬ শতাংশ কমে আসার বিষয়ে দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) তথ্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সঠিক তথ্য ও সঠিক পদ্ধতি ছাড়াই টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ। এ ধরনের গবেষণায় বিজিএমইএ থেকে তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আহ্বান জানায় বিজিএমইএ।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে টিআইবি জানায়, ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি ২৬ শতাংশ কম। ২০১৮ সালে ন্যূনতম মজুরি ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি করলেও সাব-কন্ট্রাক্টনির্ভর কারখানায় ন্যূনতম মজুরি দেওয়া হয় না। যে মূল মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে তা বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২৩ থেকে ৩৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির কথা বলা হলেও প্রকৃত হিসাবে তা প্রায় ২৬ শতাংশ কম। মজুরি নির্ধারণে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রয়োগ হয় না। টিআইবির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিএমইএ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বছরে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হলে ৫ বছর শেষে সামগ্রিক ইনক্রিমেন্টের হার দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। অথচ মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মজুরি কাঠামোতে মূল মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে ২৮ দশমিক ৭০ থেকে ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।

মজুরি নিয়ে আলোচনায় শ্রমিকের দক্ষতার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন, ভিয়েতনাম ও তুরস্কের শ্রমিকদের দক্ষতার হার হচ্ছে যথাক্রমে ৬৫, ৫৫ এবং ৭০ শতাংশ। আমাদের শ্রমিকদের দক্ষতা মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ। ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং দক্ষতার মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের বিষয়টি মজুরি বোর্ড বিবেচনায় নেয়নি।

টিআইবির প্রতিবেদনে উৎপাদন ঘণ্টা চলাকালে শ্রমিকরা টয়লেটে যেতে পর্যন্ত পারছে কি-না, তার কথা বলা হয়েছে। অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিকদের দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো টিআইবি প্রতিবেদনে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণসহ যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি। একইভাবে এই প্রতিবেদনে শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান না করার কথা বলা হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে বলে দাবি করে বিজিএমইএ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে যদি টিআইবি ও বিজিএমইএ একসঙ্গে কাজ করতে পারে, তাহলে এমন তথ্য বিভ্রান্তি এড়ানো সম্ভব হবে। অধিকন্তু রানা প্লাজা দুর্ঘটনা বার্ষিকীর ঠিক আগে এমন একটি স্পর্শকাতর সময়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ মোটেই কাম্য নয়। এতে আরো বলা হয়, পোশাক শিল্প এককভাবে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করছে। এই শিল্পটি বিগত বছরগুলোতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে। শুধু ৮০টি কারখানাকে স্যাম্পল হিসেবে নিয়ে সমগ্র শিল্প সম্পর্কে ঢালাও প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই শিল্পকে হেয় করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads