• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দশ হাজার সদস্য

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দশ হাজার সদস্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জুন ২০১৯

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ক্রমশ ফাঁকা হচ্ছে জনবহুল ঢাকা। তবে ফাঁকা রাজধানীর বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তায় চুরি-ছিনতাইসহ বড় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে দশ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ঈদের ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সতর্ক অবস্থান বলবৎ থাকবে।

ডিএমপির মুখপাত্র উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীর ঈদগাহ মাঠগুলোতে জামাত শুরুর আগেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবে র্যাব। স্ব স্ব এলাকায় থানা পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানো হবে। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে বাড়ানো হবে ‘ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং’।

মাসুদুর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে চুরি ও ছিনতাই ঠেকাতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন। এছাড়া যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে থাকবে তল্লাশি চৌকি। বাড়ানো হবে পুলিশি টহল। পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গেও সমন্বয় করা হবে।’

ঈদ জামাতের নিরাপত্তা বিষয়ে ডিএমপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতেই পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিট ও বোম্ব-ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে জাতীয় ঈদগাহে সুইপিং করা হবে। থাকবে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে। জাতীয় ঈদগাহসহ বড় জমায়েতের স্থানগুলো ও আশপাশে স্থাপন করা হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। যেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।’

পুলিশের পাশাপাশি ঈদ নিরাপত্তায় কাজ শুরু করেছে র্যাব। সংস্থাটির মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বাস, লঞ্চ, মহাসড়ক ও রেল স্টেশনগুলোতে আমরা ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছি। মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

র্যাবের এ মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তা শুধু রাজধানী নয় সারা দেশের ঈদগাহ ঘিরে, বিশেষ করে যেসব স্থানে আমাদের ব্যাটালিয়ন আছে, সেখানে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করব। এ ব্যাপারে সবগুলো ব্যাটালিয়নে নির্দেশনা ইতোমধ্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বড় বড় ঈদগাহ যেগুলো আছে, তার আশপাশে আমাদের টহল সবসময় থাকবে। সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঈদগাহ ময়দানের ভেতরেও আমাদের সদস্যরা সিভিল পোশাকে থাকবে। পুরো ময়দান বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপ করা হবে। ছিনতাইকারী, টানা পার্টি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা ঠেকাতে র্যাবের স্পেশাল ড্রাইভ শুরু হয়েছে বলে জানান মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, শহর ফাঁকা হয়ে গেলে টানা পার্টি, ছিনতাই, চুরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এগুলো ঠেকাতে স্পেশাল ড্রাইভ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, টানা পার্টির সদস্যদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শপিংমল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads