স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের বড় বড় সব ঈদ জামাতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জামাতে সাদা পোশাকে, ইউনিফর্মে এবং ছদ্মবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে ঈদসামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা মালিবাগ ও পল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, শিগগিরই তাদের শনাক্ত করে ধরা হবে। তাদের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হবে। আপনাদের মাধ্যমে আমি জঙ্গিদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, তারা কি মুসলিম? তারা যদি মুসলিমদের ভালো চায়, তাহলে কী করে মুসলিমদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ জামাতে জঙ্গি হামলা চালায় তারা? এটা কখনো মুসলিমদের কাজ না।
যারা ইসলামকে কালিমাযুক্ত করতে চায়, ইসলামের ভালো চায় না, তাদের প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। দেশের জনগণ জঙ্গিদের চায় না। তাদের কোনো ধরনের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। তাই আমি মনে করি কোনো ধরনের অঘটন ঘটবে না।
শিয়া ও আহমদিয়া সম্প্রদায় যদি কোথাও ঈদ জামাত আয়োজন করে, তাহলে তাদেরও নিরাপত্তা দেওয়া হবে। জনগণ কোনো সহিংসতা চায় না। সবাই মিলেমিশে বসবাস করতে চায়। একে অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। জঙ্গিরা আবার সংগঠিত হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা কখনো বলিনি তাদের মূল উৎপাটন হয়েছে বা শেষ করে ফেলেছি। এরা দেশি ও বিদেশি চক্র। সবসময় চক্রান্তে লিপ্ত হয় তারা। তবে তারা বড় ধরনের কোনো আক্রমণ করতে সক্ষম হবে না। এরপরও গোয়েন্দারা সবসময় সজাগ রয়েছে।
এবার সড়ক, মহাসড়কগুলোতে ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত সড়কে কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতার খবর পাইনি। মানুষ ঢাকা থেকে স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তা বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিএমপি কমিশনার বলেছেন- তিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট। রাজধানীতে কোনো ধরনের অঘটন ঘটবে না। ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি কমেছে। বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সবাই সতর্ক থাকলে আশা করি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের আয়োজনে সুবিধাবঞ্চিত শিশু, নারী ও পুরুষদের ঈদের পোশাক ও ঈদসামগ্রী প্রদান করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
