• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
 বাগেরহাটে জেলে পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ

বাগেরহাটে জেলে পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ

  • বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০১৯

ইলিশের ভরা মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদ আনন্দ নেই বাগেরহাটের জেলে পরিবারে। বাগেরহাটে ২৭ হাজার জেলেসহ আড়ৎদার, পাইকার ও মাঠ পর্যায়ে মাছ বেচাকেনান সাথে জড়িত এসব পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

বাগেরহাটের জেলে ও মৎস্যজীবী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানাগেছে। তারা দ্রুত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষের একটি বড় অংশই মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। বাগেরহাটের নদীগুলোতে মাছ না থাকায় সাগরের মাছের ওপরে নির্ভর করেই চলে তাদের জীবন-জীবিকা। তাদের মাছ ধরার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে বঙ্গোপসাগর। ২০ মে-২৩ জুলাই ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরের অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য বিভাগ থেকে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিপাকে পড়েছেন জেলেরা।

মোংলা উপজেলার জয়মনি এলাকার জেলে আব্দুল মালেক ফরাজী বলেন, ‘এমনিতেই সংসারে অভাব, তার ওপর রাত পোহালেই ঈদ, মাছ না ধরতে পারায় হাতে কোন টাকা নেই। ঈদে ছেলে-মেয়েদর মুখে কিভাবে এক মুঠো খাবার তুলে দেবো সেই চিন্ত্য়া আছি।’

শরণখোলা ফিসিং মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুমে ২১ দিন সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধের নির্দেশ মেনে জেলেরা মেনে নিয়েছে। ঝাটকা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য ছয় মাস ধরে ছোট ফাঁসের জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করা হয়েছে । এরপর ইলিশের ভরা মৌসুমে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে। শরণখোলার ৬ হাজার জেলে পরিবারের কোন ঈদ আনন্দ নেই।’

কচুয়া উপজেলার ট্রলার মালিক আক্কাস আলী বলেন, ‘বিভিন্ন ভাবে ধার-দেনা করে চড়া সুদে লোন নিয়ে জেলেদের দাদন (অগ্রিম টাকা) দিয়েছি আমরা ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদারা। ইলিশের ভরা মৌসুমে জেলেরা মাছ ধরতে না পেরে এখন আমরা পথে বসেছি। এখন সুদের টাকা পরিশোধ করতেই ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করতে হচ্ছে।’

উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জানান, সাগরে মাছ ধরতে না পারায় বাগেরহাট জেলার ২৭ হাজার জেলেসহ আড়দার, পাইকার ও মাঠ পর্যায়ে মাছ বেচাকেনান সাথে জড়িত অর্ধ লক্ষাধিক পরিবারে এবার ঈদ আনন্দ বেদনায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে যখন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে, তখন ভারতের জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ ধরে চলেছেন।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads