• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ঊর্ধ্বমুখী মসলার বাজার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৯

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মসলার দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রায় সব ধরনের মসলার দাম খুচরা বাজারে ২০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। দাম বাড়ার দিক থেকে এগিয়ে আছে এলাচি, জয়ত্রী, দারুচিনি, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। তবে ভোজ্য তেলসহ প্যাকেটজাত মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি এলাচি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এলাচি বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে। ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়ে জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকায়, ১৫০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, দারুচিনি ৪৫০ টাকায়। খোলা গুঁড়া হলুদ ও মরিচ ৩০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ ও ২২০ টাকায়।

এ ছাড়া দেশি রসুন ১৭০ টাকা, ভারতীয় ১৯০ টাকা, আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যার মধ্যে গত এক থেকে দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৫০ টাকা, ভারতীয় ১৭০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ দেশি ৩৫ টাকা, ভারতীয় ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

হঠাৎ মসলার দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। তারা দাবি করেছেন, কোরবানির আগে চাহিদ বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বছরই অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।

এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মূল মোকামে মসলার দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বেশি। মসলা ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও সব মসলার দাম ছিল স্বাভাবিক। এখন দাম বাড়তি। মোকামে বাড়তি দাম হওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেশি।

একই কথা বলেন হারিপুলের শিপন স্টোরের মালিক রহমত আলি। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে সব মসলার দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে দাম বেশি।

বিক্রেতাদের এসব দাবিকে মেনে নিতে নারাজ কারওয়ান বাজারের ক্রেতা ব্যাংকার জাহিদ আহসান। তিনি বলেন, প্রতি বছর অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কোরবানি বা অন্য কোনো উৎসব এলেই মসলার দাম বাড়িয়ে দেন। সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং করে এসব অসাধু ব্যবসায়ীকে বিচারের আওতায় আনা উচিত সরকারের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads