• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
শোক দিবসে অর্ধনমিত থাকবে পতাকা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

শোক দিবসে অর্ধনমিত থাকবে পতাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ আগস্ট ২০১৯

বাঙালির ইতিহাসে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত আগস্ট মাস শুরুর প্রথম দিন থেকেই দেশজুড়ে থাকে শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ। শোকাবহ আগস্টের আজ অষ্টম দিন। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ও অভিন্ন। তাকে কেন্দ্র করেই একদিন এই ভূখণ্ডে উন্মেষ ঘটে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার। আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তিনিই ছিলেন বাঙালির স্বপ্ন ও বাস্তবতার সার্থক রূপকার। বারবার তার সামনে এসেছে মসনদ, ক্ষমতা ও অর্থবিত্তের হাতছানি। মোহ ও লোভ কখনো ছুঁতে পারেনি জাতির জনক ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে।

 নানা ষড়যন্ত্রে ও কূটচালে চেষ্টা চলেছে তাকে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের পথ ও আন্দোলন থেকে সরিয়ে দিতে। কিন্তু ব্যর্থ হন ষড়যন্ত্রকারী ও কূটচালকারীরা। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে একদল ঘৃণ্য পশু ও নরঘাতক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে রক্তে ভাসায় জাতির জনক ও তার স্ত্রী, সন্তান এবং স্বজনদের। রক্তাক্ত করে স্বাধীনতাকে। সেদিন পৃথিবীর নৃশংসতার ইতিহাসে যোগ হয়েছিল আরেক বর্বর অধ্যায়।

সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ও একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির দোসররা সেদিন দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। রক্তে গড়া বঙ্গবন্ধুর দেহ ঘৃণ্য পশুরা কেড়ে নিতে পারলেও নিতে পারেনি আদর্শ বঙ্গবন্ধুকে। কেননা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে চিরঞ্জীব। তাই ৪৪ বছর পরও বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন বঙ্গবন্ধুকে। তার রক্তে ধোয়া বাংলায় আবারো জাগে যূথবদ্ধ মানুষ। শ্রদ্ধায় স্মরণে পথে প্রান্তরে আজো ওঠে সেই সম্মিলিত রণধ্বনি- ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে।’ আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। ওইদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকালে পতাকাটি প্রথমে সোজাভাবে দণ্ডায়মান পতাকা দণ্ডের মাথা পর্যন্ত রশির সাহায্যে উত্তোলন করতে হবে। এরপর দণ্ডের মাথা থেকে পতাকার প্রস্থের সমান নিচে নামিয়ে বাঁধতে হবে। দিনশেষে নামানোর সময় পতাকাটি আবার দণ্ডের মাথা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে এবং তারপর ধীরে ধীরে নামাতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads