• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

আবরার হত্যা : বিক্ষোভে উত্তাল বুয়েট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৯

শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালেয় (বুয়েট)। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। 

আবরার হত্যার তদন্ত ও বিচার দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে বলেও দাবি জানান তারা। বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

মিছিলের পর বিফ্রিং করেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বলা হয়, আজ বিকেল ৫টার মধ্যে বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে ক্যাম্পাসে না আসলে আরো কঠোর কর্মসূচী পালন করা হবে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন। 

দাবিগুলো হলো- খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি; ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিতভাবে শনাক্তকৃত খুনিদের সকলের ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কার; দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি; বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি তার জবাব সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে দিতে হবে এবং ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন তার কারণ বিকেল ৫টার মধ্যে তাকে দিতে হবে; আবাসিক হলগুলোতে র‍্যাগের নামে এবং ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ নভেম্বর, বিকেল ৫টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে; রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ নভেম্বর, বিকেল ৫টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে এবং মামলা চলাকালীন সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে। 

এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয় বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। রাতে বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে আবরারের জানাজার পর বিক্ষোভ শেষে আন্দোলন করার ঘোষণা দেন তারা।

গেল রোববার রাতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার ভোরে শের-ই-বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় আবরারের নিথর দেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শের-ই-বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে তিনি স্কুলজীবন শেষ করে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads