• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৯

বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি যোগ হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংকের ঢাকার অফিস।

গতকাল সোমবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ নামে বিশ্বব্যাংকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০-২০১৬ সময়ে ৮০ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে, যার বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সৃষ্টির মাধ্যমে। তবে দারিদ্র্য কমছে তুলনামূলক কম গতিতে। ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে গতি হ্রাস পেয়েছে বলেও জানানো হয়।

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ ছাড়া সরকারের নীতিনির্ধারক, বেসরকারি খাত, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের দারিদ্র্যের মাত্রা কমছে অসমভাবে। ২০১০ সাল থেকে দেশের পূর্ব এবং পশ্চিমের বিভাগগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য পরিস্থিতির প্রথাগত পার্থক্য আবার ফিরে এসেছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং রাজশাহী ও খুলনায় এই হার স্থিতিশীল রয়েছে। অপরদিকে চট্টগ্রামে দারিদ্র্য কমেছে পরিমিতভাবে এবং বরিশাল, ঢাকা ও সিলেটে এর মাত্রা দ্রুত কমেছে।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য পরিস্থিতি মূল্যায়নে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বিগত দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনো প্রতি ৪ জনের ১ জন দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বসবাস করছে। বাংলাদেশকে এ ক্ষেত্রে আরো অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষত দারিদ্র্যের নতুন ক্ষেত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

এ সময় প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান অনুসারে টেম্বন বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ৯০ শতাংশই গ্রামে হয়েছে। শহরে দারিদ্র্য কমেছে সীমিত হারে এবং অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শহরবাসীর অংশ একই রয়ে গেছে। ফলে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচনের গতি ধীর হয়েছে।

দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা খাতগুলো সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, কৃষি নয়, গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্য কমাতে শিল্প ও সেবা খাত বেশি অবদান রেখেছে। আলোচ্যকালে কৃষি প্রবৃদ্ধি ধীর ছিল এবং আগের চেয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে কম অবদান রেখেছে। শহর অঞ্চলে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন খাত বিশেষত তৈরি পোশাক খাত দারিদ্র্য কমাতে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে। এদিকে উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থানে ধীরগতির কারণে সুবিধা পেতে পারতেন এমন পরিবারের অংশ কমে এসেছে। অন্যদিকে সেবা খাতে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিতদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে, যা নগর দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads