• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
উন্নয়নে বড় বাধা দুর্নীতি : রাষ্ট্রপতি

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

উন্নয়নে বড় বাধা দুর্নীতি : রাষ্ট্রপতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৯

দুর্নীতি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় বাধা বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমী উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক, চাঁদাবাজি, জুয়া নির্মূল করতে চলমান অভিযানকে সফল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিজয়া দশমীতে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, অসুর ও অশুভ শক্তিকে পরাস্তের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠাই দুর্গাপূজার মর্মবাণী। সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার ও অশুভ তৎপরতাকে রুখে দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে একটি সাম্য, সৌহার্দ্য ও শান্তিময় সমাজ গঠনে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, নিজে অন্যায় করব না, অন্যকেও করতে দেব না— এই নীতি সামনে রেখে সমাজ থেকে অন্যায় ও দুর্নীতি দূর করার শপথ নিতে হবে। তা হলেই দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে আর প্রতিষ্ঠিত হবে সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দুর্গোৎসব বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারা দেশে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। এটি বাংলার আবহমান ঐতিহ্যের অংশ। দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও।

তিনি আরো বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন। সবার মধ্যে গড়ে ওঠে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে দুর্গোৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন।

সবাইকে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, শান্তি ও মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। তাই ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলার পাশাপাশি মানবতার কল্যাণেও এগিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে আমাদের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়।

হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির নেতারা এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে লুচি, নিরামিষ, খিচুড়ি, মুরগির মাংস, দইবড়া, মিষ্টি ও কয়েক রকমের ফল দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads